আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৪ সালে ৯ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান রতন টাটা। তারপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল কে কে পেতে পারেন তাঁর সম্পত্তির অংশ। জীবদ্দশায় অনেক দানধ্যান করেছেন রতন টাটা। নিজের ৩,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির বড় অংশ রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরটিইএফ) এবং রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট (আরটিইটি)-কে দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বঞ্চিত করেননি তাঁর বাড়ি এবং অফিসের সহকারীদের। তাঁদের জন্য রেখে গিয়েছেন তিন কোটি টাকারও বেশি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতন টাটা তাঁর দীর্ঘদিনের রাঁধুনি রাজন শ-কে এক কোটি টাকার কিছু বেশি দান করে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি তাঁর ৫১ লক্ষ টাকার ঋণও মকুব করেছেন। পরিচারক সুব্বাইয়া কোনারকে দিয়ে গিয়েছেন ৬৬ লক্ষ টাকা। তাঁর ৩৬ লক্ষের ঋণ মকুব করে গিয়েছেন। তাঁর সচিব দেলনাজ গিলডারের জন্য রেখে গিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা।
রতন টাটা নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার পোশাকগুলি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে দান করা দিতে হবে। যাতে সেগুলি বঞ্চিতদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। তিনি ব্রুকস ব্রাদার শার্ট, হার্মিস টাই, পোলো, ডাকস এবং ব্রিওনি স্যুটের মতো সংস্থার পোশাক পরতেন। তিনি তার সহকারী শান্তনু নাইডুর এক কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছেন। তিনি অন্যান্য ঋণও মকুব করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর এক প্রতিবেশীর ঋণ এবং তাঁর গাড়িচালক রাজু লিওনের ১৮ লক্ষ টাকার ঋণও মকুব করে গিয়েছেন।
পশুপ্রেমী ছিলেন রতন টাটা। তাঁর পোষ্য জার্মান শেপার্ড টিটো-র জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। সারমেয়টির জন্য রাখা রয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। প্রতি ত্রৈমাসিকে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বর্তমানে রাধুঁনি রঞ্জন টিটো-র দেখাশোনা করছেন।
উইল অনুযায়ী, টাটার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পাচ্ছেন তাঁর দুই সৎ বোন শিরিন জিজিভয় এবং ডিয়ানা জিজিভয়। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্তার সংগ্রহে যে দুর্মূল্য ছবি এবং ঘড়ি ছিল, তা-ও পাবেন এই দুই বোনই। সম্পত্তির আর এক-তৃতীয়াংশ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোহিনী এম দত্তকে দিয়ে গিয়েছেন টাটা। এই দত্ত টাটা গোষ্ঠীতে কর্মরত ছিলেন।
