আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০১০ সালে ভারতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব গাঢ় হয় বিরাট কোহলির। এমএস ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ে একই ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেয় দুই তারকা। বুধবার ৩৭ বছরে পা রাখেন বিরাট কোহলি। বন্ধুর জন্য একটি মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট করেন যুবরাজ। কোহলির কয়েকটা পুরোনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সবকটি ছবিই তাঁর সঙ্গে। তার সঙ্গে সুন্দর একটি ক্যাপশন দেন। যা দেখে আবেগে ভাসে ভক্তরা। যুবি লেখেন, 'একবারের রাজা মানে বরাবরের রাজা। শুভ জন্মদিন বিরাট কোহলি। একটা দারুণ বছরের জন্য শুভেচ্ছা। ভাল থেকো।'
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় এক স্বাস্থ্যবান কিশোরের। সেখান থেকে এমন একটি উচ্চতায় পৌঁছন, যেখানে খুব কম লোকে যেতে পারে। তাঁর নেতৃত্বে কুয়ালালামপুরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে ভারতীয় দল। তখনই বোঝা যায় তিনি বাকিদের থেকে আলাদা। শচীন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলির থেকে অনেকটাই আলাদা তিনি। তবে ধারাবাহিকতা দিয়ে মাস্টার ব্লাস্টারকে মনে করান কোহলি। সৌরভের আগ্রাসনের সঙ্গে মিল রয়েছে। কিংবদন্তিদের ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন কোহলি। এমএস ধোনি এবং রোহিত শর্মার পাশাপাশি নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
দেশের হয়ে ১২৩ টেস্ট খেলেন কোহলি। ৯২৩০ রান করেন। গড় ৪৬.৮৫। রয়েছে ৩০টি শতরান এবং ৩১টি অর্ধশতরান। সর্বোচ্চ রান ২৫৪। ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে টেস্ট জীবন শেষ করেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ লাল বলের ক্রিকেটে ফর্মের শিখরে ছিলেন। ৪৩ টেস্টে ৪২০৮ রান করেন। গড় ৬৬.৭৯। তারমধ্যে রয়েছে ১৬টি শতরান এবং ১০টি অর্ধশতরান। রয়েছে সাতটি দ্বিশতরান। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও লাল বলের ক্রিকেটে শেষটা মধুর হয়নি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিই জীবনের শেষ টেস্ট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে অবসর নেন।
