আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ প্রায় একসঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন দু’‌জনে। এক জন শচীন তেন্ডুলকার। অন্য জন বিনোদ কাম্বলি। কিন্তু শচীন এগিয়ে গেলেও কয়েক বছরের মধ্যেই জাতীয় দল থেকে হারিয়ে যান বিনোদ কাম্বলি। 


একসময় ভারতীয় ক্রিকেটে চরম প্রতিভাবান বলা হত কাম্বলিকে। বাঁহাতি ব্যাটার ছিলেন। কিন্তু চোট, বিতর্ক, ব্যক্তিগত ও বিবাহিত জীবনে টানাপড়েন কাম্বলিকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দেয়। এখন কাম্বলি রীতিমতো অসুস্থ। কিছুদিন আগেই এক ইভেন্টে শচীনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কাম্বলির। শচীন সৌজন্য বিনিময়ের পর মঞ্চে উঠতে বললেও কাম্বলি পারেননি। কারণ তিনি ঠিক করে হাঁটতেই পারেন না এখন। তাঁর এক বন্ধু তখন জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই একাধিক রিহ্যাবে নিয়ে যেতে হয়েছে কাম্বলিকে। একবার তো মুম্বইয়ের রাস্তায় দেখা দিয়েছিল রাস্তার একপার থেকে অন্যপারে যেতে পারছেন না কাম্বলি। পথচারীদের সহায়তায় সেযাত্রায় রাস্তা পেরোন।


জীবনের কঠিন সময়ে শচীনকে দোষারোপ করতেও ছাড়েননি কাম্বলি। ২০০৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শচীন তাঁর জন্য কিছুই করেননি। যদিও ২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানিয়েছিলেন, তাঁর অস্ত্রোপচারের সময় আর্থিক সাহায্য করেছিলেন কাম্বলি। সেই কাম্বলি এখন বলছেন, ‘‌একটা সময় মনে হয়েছিল শচীন কিছুই করেনি আমার জন্য। তখন চরম হতাশাগ্রস্ত ছিলাম। কিন্তু এটুকু বলতে পারি শচীন আমার জন্য সবকিছু করেছে। ২০১৩ সালে আমার দুটি অস্ত্রোপচারের টাকা শচীন দিয়েছিল।’‌ এরপরই কাম্বলির সংযোজন, ‘‌শচীনের পরামর্শ শুনেই জাতীয় দলে একাধিকবার কামব্যাক করেছিলাম।’‌ 


এখনও ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জোড়া দ্বিশতরান ভুলতে পারেননি কাম্বলি। বলেছেন, ‘‌১৯৯০ সালে দুই ইনিংসেই দ্বিশতরান করেছিলাম। তখন দল দুর্দান্ত ছিল। যদিও আমার যাত্রা বড় একটা সফল নয়। শচীনের সাহায্য পেয়ে আমি আপ্লুত।’‌