আজকাল ওয়েবডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের বড়সড় পদক্ষেপ। সরকারি দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি ও দুই ছাত্রীকে দিয়ে পা মালিশ করানোর গুরুতর অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার শ্রীকাকুলাম জেলার একটি স্কুলে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম হল ওয়াই সুজাতা।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্যামেরায় ধরা পড়তেই হুলুস্থুল। মুহূর্তের মধ্যে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। জানা গিয়েছে অভিযু্ক্ত শিক্ষিকা শবান্দাপল্লি গ্রামের স্কুলে পড়ান। দেখা গিয়েছে ক্লাসরুমের মধ্যেই শিক্ষিকা সুজাতা পা ছড়িয়ে অত্যন্ত আরাম করে বসে আছেন এবং নিজের মোবাইলে কথা বলছেন। আর তাঁর পায়ের কাছে হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছে দুই ছাত্রী। তারা শিক্ষিকার পা মালিশ করে দিচ্ছে।
সাসপেনশনের নির্দেশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা সুজাতা বারবার সরকারের জারি করা নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছেন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেনশন আদেশে লেখা হয়েছে যে, "সব দিক বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে, বান্দাপল্লি গ্রামের জিটিডব্লিউএএইচ স্কুলের এলএফএল এইচএম ওয়াই সুজাতা সময়মতো জারি করা সরকারি নিয়ম কানুন মানেননি। তাই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা জরুরি।"
আদেশে আরও জোর দিয়ে বলা হয়, ছাত্রীদের দিয়ে এহেন পা মালিশ করানো এবং নিজের ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে সুজাতা সরকারি নিয়ম ভেঙেছেন। ক্লাসরুমে অশালীনভাবে পা ছড়িয়ে বসা এবং ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেওয়া তাঁর পেশাগত কর্তব্যে মারাত্মক গাফিলতি।
নির্দেশে বলা হয়, "ক্লাসরুমে পা ছড়িয়ে বসে থাকা এবং ছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো তাঁর পেশাগত দায়িত্বের প্রতি চরম গাফিলতির প্রমাণ।"
পাশাপাশি, নির্দেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ক্লাসের সময়ে পড়ুয়াদের পড়ানোর বদলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সুজাতা নিয়ম ভেঙেছেন। একজন সরকারি আধিকারিক এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও সুজাতা ছাত্রীদের দিয়ে একাধিকবার পা মালিশ করিয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধী দল ওয়াইএসআরসিপি। এক কঠোর বার্তায় তাঁরা বলেছেন, "ওই শিক্ষিকা শিক্ষকতা পেশার মুখ ডুবিয়েছেন"। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রী নারা লোকেশের দায়িত্বে থাকা শিক্ষাব্যবস্থায় চরম অবক্ষয় চলছে।
ওয়াইএসআরসিপি তাদের টুইটে অভিযোগ করেছে, "শ্রীকাকুলাম জেলার বান্দাপল্লি গার্লস ট্রাইবাল আশ্রম স্কুলে এক শিক্ষিকা দু'জন ছাত্রীকে দিয়ে নির্লজ্জের মতো নিজের পা মালিশ করালেন। শুধু তাই নয়, তিনি অহঙ্কারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন তখন। দেরিতে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি। এই জঘন্য কাজ দেখে অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।"
