আজকাল ওয়েবডেস্ক: টানা চার দিন নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তার উপর ডিভিসি গত দু’দিন ধরে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বাঁধ ভেঙেছে। জল ঢুকেছে লোকালয়ে। ডুবেছে বাড়িঘর। জলে ডুবে মারা গেছে ২ জন। মুর্শিদাবাদে ত্রাণ নিতে গিয়ে জলে ডুবে মারা গেছে এক শিশুকন্যা। কেশপুরের এক যুবক রাস্তা পার করতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার অন্তর্গত সোনাভাড়ুই গ্রামে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কুয়ো নদীর জল বেড়ে ভেসেছে গ্রাম। সেখানে ত্রাণ শিবির থেকে ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুকন্যার। নাম দিশা বাগদি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিল শিশুকন্যাটি। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ওই গ্রামের পাশে বাদশাহী সড়কের উপর ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। দিশা মায়ের সঙ্গে ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মায়ের কোল থেকে অসাবধানবশত জলে পড়ে যায়। বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। অন্য ঘটনাটি ঘটে কেশপুরের ভেলাঘাটে। শেখ জিয়াসুদ্দিন (১০) নামে এক কিশোর দুই বন্ধুর সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে যায় তিনজনই। দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ঘণ্টা চারেক তল্লাশির পর কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়।
