আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ এশিয়া কাপে কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ?‌ শুভমান গিল দলে আসায় সঞ্জু স্যামসনের ওপেন করা নিশ্চিত নয়। কারণ টি২০ ক্রিকেটে এক নম্বর ব্যাটার অভিষেক শর্মাই সম্ভবত ওপেন করবেন। সঙ্গে থাকবেন সহ অধিনায়ক শুভমান গিল। 


টি২০ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক অতীতে দেশের হয়ে ওপেন করেছেন সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা। যথেষ্ট সফল এই জুটি। তখন দলে ছিলেন না গিল। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে গিলকে এবার টি২০ ক্রিকেটে রাখা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গিল থাকায় সঞ্জু হয়ত প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন না। সুনীল গাভাসকার কিন্তু এমনটা ভাবছেন না।


গাভাসকারের মতে, গিল ও স্যামসন দু’‌জনেই প্রথম একাদশে থাকতে পারেন। প্রয়োজনে সঞ্জু স্যামসন মিডল অর্ডারেও খেলতে পারেন বলে জানিয়েছেন সানি। তাঁর কথায়, ‘‌গিল বা সঞ্জু যে কেউ প্রয়োজনে পাঁচ বা ছয় নম্বরে ব্যাট করতে পারে। তবে কোনওভাবেই সঞ্জুকে বাদ দেওয়া উচিত হবে না। কারণ সে উইকেটরক্ষক। সঞ্জু খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। সে যে কোনও জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে।’‌ 


এরপরই গাভাসকারের সংযোজন, ‘‌পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার এবং প্রথম একাদশ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করবে। উইকেটের চরিত্র, প্রতিপক্ষ, এমনকী বিপক্ষের বোলিং আক্রমণের উপর ঠিক হবে প্রথম একাদশ। আমার মতে ওপেন করুক অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। তিন ও চারে আসুক তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব।’‌ সানির সংযোজন, ‘‌পরিস্থিতি বুঝে এরপর হার্দিক বা সঞ্জুর মধ্যে এক জনকে নামানো হোক। তারপর আসুক অক্ষর প্যাটেল। টি২০ বিশ্বকাপে কিন্তু অক্ষর দুর্দান্ত করেছিল ব্যাট হাতে। আর বার্বাডোজে তো ছিল অনবদ্য।’‌


বোলিং বিভাগে হর্ষিত রানার বড় একটা সুযোগ পাওয়ার আশা দেখছেন না সানি। তিনি এগিয়ে রাখছেন জসপ্রীত বুমরা ও অর্শদীপ সিংকে। সানির কথায়, ‘‌বোলিংয়ের ক্ষেত্রে বলতে পারি বুমরা ও অর্শদীপ খেলুক পেসার হিসেবে। অলরাউন্ডার হিসেবে থাকুক অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে থাকুক কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী।’‌ সানির কথায়, প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা শিবম দুবে, জিতেশ শর্মা, হর্ষিত রানা ও রিঙ্কু সিংয়ের বেশ কম।’‌ 

এদিকে, শুভমান গিলকে সহ অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন সুনীল গাভাসকার। তাঁর দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে চর্চা চলছিল। কিন্তু গিলকে সূর্যকুমারের ডেপুটি করে ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়ে দেয় বোর্ড। গাভাসকার‌ মনে করেন, ইংল্যান্ডে যে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিলেন গিল, বোর্ড একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে তাঁর সব ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ার রাস্তা খুলে দেবে। গাভাসকার বলেন, ‘‌মাত্র দু’‌সপ্তাহ আগে ৭৫০ রানের বেশি করেছে। এই ধরনের ফর্মে থাকা একজন প্লেয়ারকে বাদ দেওয়া যায় না। ওকে সহ অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তও সঠিক। এর ইঙ্গিত, ভবিষ্যতে ওকে টি–২০ অধিনায়ক হিসেবেও ভাবা হতে পারে। আমার মতে, খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। ইংল্যান্ডে ও নজর কেড়েছে। প্রথমবার টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়ে ৭৫০ রানের বেশি করে বুঝিয়ে দিয়েছে কত ভাল চাপ সামলাতে পারে। সহ অধিনায়ক করা থেকে স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে গিলকেই সব ফরম্যাটে ভারতীয় অধিনায়ক করা হবে।’‌