আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ আচমকা টেস্ট থেকে অবসর। গোটা ভারত স্তম্ভিত। গম্ভীর জমানায় ইতিমধ্যেই তিন ক্রিকেটার টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। অশ্বিনকে দিয়ে শুরু হয়েছিল। তারপর রোহিত থেকে বিরাট। সূত্রের খবর, বোর্ড নাকি বিরাটকে ইংল্যান্ড সিরিজের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেছিল। কিন্তু রাজি হননি বিরাট। 


এই পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর বর্ডার গাভাসকার ট্রফি চলার সময়েই নাকি বিরাটকে ফের টেস্টের অধিনায়ক হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী এডিলেড টেস্টে হারের পরেই এরকম একটা সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। রোহিতের অধিনায়কত্বে দিন রাতের টেস্টটা হেরে গিয়েছিল ভারত। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‌বিরাট ঘনিষ্ঠদের মতে কোহলিকে নাকি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। যে তিনি আবার টেস্টে অধিনায়ক হতে পারেন। কিন্তু আচমকাই সব নাকি বদলে যায়।’‌ 


সিরিজ হারতেই পরিস্থিতি আরও বদলে যায়। টিম ম্যানেজমেন্ট তরুণ অধিনায়কের হয়ে সওয়াল করতে শুরু করে। কিন্তু কোহলি তখনও আশাবাদী ছিলেন যে তাঁকে অধিনায়ক করা হতে পারে। তাই দিল্লির হয়ে তিনি রঞ্জি ম্যাচও খেলেন। কিন্তু ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এপ্রিলে নাকি তাঁকে জানানো হয় তিনি একজন ক্রিকেটার হিসেবেই দলে থাকবেন। এরপরই অবসরের সিদ্ধান্ত কোহলির।


সম্প্রতি দিল্লির কোচ শরণদীপ সিং এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‌বিরাট যে অবসর নেবে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগেও বিরাটের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু এরকম কিছু যে ভাবছে তা মনেও হয়নি। আইপিএলে বিরাট তো অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে।’‌


শরণদীপ আরও জানিয়েছেন, ‘‌ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের আগে কাউন্টি খেলার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু বিরাট বলেছিল সিরিজ শুরুর আগে ভারত এ দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। এরপর আচমকাই শুনতে পেলাম বিরাট আর টেস্ট খেলবে না। বিরাটের ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ছন্দে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় একটা শতরানও করেছিল। তবে নিজের ব্যাটিংয়ে খুশি ছিল না। রঞ্জি ট্রফি খেলার ফাঁকেই জানিয়েছিল ইংল্যান্ড সিরিজে অন্তত তিন চারটে শতরান করতে চায়। সেই আচমকা নিয়ে নিল অবসর।’‌