আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি তাঁর চিঠিতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেছেন। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী ও স্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে এর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে 'প্রতিশ্রুতিবদ্ধ'। তবে, 'পারস্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগের সংবেদনশীলতার' ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন মোদি।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ''বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং আপামর বাংলাদেশের জনগণকে আমার শুভেচ্ছা। এই দিনটি আমাদের ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এই দিনেই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে চলেছে।" তিনি আরও লিখেছেন, "শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য এবং একে অপরের স্বার্থ এবং উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'' রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং একটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি নতুন ভারতের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
২৬ মার্চ বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ভুটানের পর ভারত দ্বিতীয় দেশ যারা ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০২১ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই তারিখটিকে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব দিবস (মৈত্রী দিবস) হিসেবে ঘোষণা করেন।
২৬ মার্চের ঘোষণার পর শুরু হয় নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যা শেষ হয় ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বুধবার স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করেই। রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টার বাণীতে স্বাধীনতা ঘোষণা হওয়ার কথা আছে। কে করলেন, কী ভাবে করলেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে করলেন— কোনও কিছুরই উল্লেখ করা হয়নি।
