আজকাল ওয়েবডেস্ক: বালাকোট হামলার পরেই পাকিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ চেয়েছিল বিরোধী দলগুলি। অপারেশন সিঁদুরের পর বিরোধীদেরই একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের গান্ধীনগরের সভা থেকে মোদি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের পুরোটাই ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। যাতে কেউ ‘প্রমাণ’ চাইতে না পারে।“
মঙ্গলবার গান্ধীনগরে সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে তিনি বলেন, “ভারত বীরদের দেশ। আমরা আগে যাকে ছদ্ম যুদ্ধ বলতাম, ৬ মে-র পর থেকে তা আর বলা যাবে না। কারণ, মাত্র ২২ মিনিটে ন’টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। পুরোটাই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ। এ বার গোটা অপারেশন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে। যাতে ঘরের কেউ প্রমাণ চাইতে না পারে।“
তিনি আরও বলেন, "আমি বলছি এটিকে আর ছদ্ম যুদ্ধ বলা যাবে না কারণ ৬ মে-র পরে যেসব জঙ্গির শেষকৃত্য হয়েছিল, তাঁদের পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কফিন পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সেনাবাহিনী তাঁদের স্যালুট জানিয়েছিল। এটি প্রমাণ করে যে জঙ্গি কার্যকলাপ ছদ্ম যুদ্ধ নয় বরং একটি সুপরিকল্পিত যুদ্ধ কৌশল। তোমরা (পাকিস্তান) ইতিমধ্যেই যুদ্ধে লিপ্ত এবং তোমরা সেই অনুযায়ী জবাব পাবে। আমরা কারও সঙ্গে শত্রুতা চাই না। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা এমন অগ্রগতিও করতে চাই যাতে আমরা বিশ্বের কল্যাণে অবদান রাখতে পারি।"
প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রমাণ’ খোঁচা কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে লক্ষ্য করেই। যেই সব দলের নেতারা ২০১৬ সালে উরি এবং পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালে বালাকোট বিমান হামলার পরে সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং হামলার প্রমাণ চেয়েছিলেন। ৭ মে ভারত পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায়। বিমান হামলার পর সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় সেনাবাহিনী হামলার ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি প্রকাশ করেছিল।
দুই দিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন মোদি। সোমবার ভদোদরা, ভুজ এবং আহমেদাবাদে সভা করেন তিনি। মঙ্গলবার সভা ছিল গান্ধীনগরে। সেই সভার আগে একটি রোডশোয়ে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দিনে চারটি রোডশো ছিল প্রধানমন্ত্রীর। অপারেশন সিঁদুরের পর গুজরাট সফরই মোদির প্রথম সফর।
