আজকাল ওয়েবডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের 'হামলাকারী' সন্দেহে পুলিশ আটক করেছিল তাঁকে। এরপর দীর্ঘ জেরা ও হেনস্থার পর ছাড়া পান। পুলিশ জানায় ভুলবশত তাঁকে আটক করা হয়েছিল। পুলিশে এই একটি ভুলেই জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে কৈলাশ কনোজিয়ার। 'সইফের হামলাকারী' খবর ছড়িয়ে পড়তেই খোয়াতে হয়েছে চাকরি, ভেঙেছে বিয়েও।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা কৈলাশ। বয়স ৩১ বছর। ১৭ জানুয়ারি বিলাসপুরে হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ছত্তিসগড়ের দুর্গ স্টেশন থেকে কৈলাশকে আটক করে। শুরু হয় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ। এর পর ১৯ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশ বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কৈলাশকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে!
মুম্বই পুলিশের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কৈলাশ বলেন, ''তাঁদের একটি ভুল আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। পুলিশ এটা খেয়াল করল না যে আমার গোঁফ দাড়ি রয়েছে। কিন্তু অভিনেতার বাড়ির সিসিটিভিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে কোনও মিল নেই।'' তিনি জানান, টিভিতে তাঁর আটক হওয়ার খবর জানাজানি হতেই পরিবারের লোকেরা ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, ''বিলাসপুরে হবু স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। দুর্গ স্টেশনে আরপিএফ আটক করে। এর পরেই আমার ছবি সহ বিজ্ঞাপ্তি দিয়ে দেওয়া হল। সংবাদমাধ্যম সেই ছবি ফলাও করে দেখাতে শুরু করল। এর ফলে মেয়ের পরিবার বিয়ে বাতিল করে দিল। যেখানে কাজ করতাম সেখান থেকেও কাজ হারাতে হয়েছে।''
বাংলাদেশি নাগরিকের গ্রেপ্তারকে ‘ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করে কানোজিয়া স্বীকার করেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একটি মুম্বইয়ের কাফ প্যারেড ব্যবসায়িক এলাকায় এবং অপরটি হরিয়ানার গুরুগ্রাম শহরে। কিন্তু কৈলাশের প্রশ্ন, এটা কী তাঁর সঙ্গে ঠিক করা হল? তিনি জানিয়েছেন, সইফের বাড়ির বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে চাকরির দাবি জানিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
