পল্লবী ঘোষ: বাংলার উঠোনেই ছড়িয়ে কত তারা। সব তারার দ্যুতি ঝলমলে নয় বলে অনেকেরই চোখে পড়ে না। তবে সেই তারারাও আলো ছড়ায় অনেকের জমিতে। গোবরডাঙার ‘জাগরী’র বিশেষভাবে সক্ষম খুদে নক্ষত্ররা তেমনই। তাদের বানানো প্রদীপ এবারও পাড়ি দিল বিদেশে। দীপাবলিতে আলো ছড়াবে প্রবাসী বাঙালিদের বাড়ির উঠোনে।
২০১৫ সাল। পেশায় শিক্ষিকা অমৃতা মুখার্জি নিজের দায়িত্বে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের থেরাপির ব্যবস্থা শুরু করেন। তাঁর একমাত্র সন্তান বুরুন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। সন্তান জন্মানোর কয়েক মাসের মাথায় সেটি টের পান অমৃতা। সেই থেকে শুরু লড়াই। বুরুনকে সাধারণ শিশুদের মতো বড় করে তুলতে চান অমৃতা। বুরুনের মতো শিশুদের কথা মাথায় রেখেই শুরু ‘জাগরী’র পথচলা। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে অমৃতা পাশে পেয়েছেন পরিবারের সদস্য, পরিজন এবং প্রিয়বন্ধু সূরজ চক্রবর্তীকে।
অমৃতার কথায়, ‘জাগরী’র বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে কেউ অটিস্টিক, কেউ ডাউন সিনড্রোম, কেউ সেরিব্রাল পলসির। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবন কীভাবে আলোক অভিসারী হয়, সেটাই ‘জাগরী’তে শেখানো হয়। তথাকথিত থেরাপির পাশাপাশি চলে ডান্স ক্লাস, মিউজিক ক্লাস।’ অমৃতা জানালেন, ‘অতিমারির আগে ১০০ জন শিশুর থেরাপি চলত ‘জাগরী’তে। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৬০ জন শিশু আসে। থেরাপির পাশাপাশি সারাবছর নানা ধরনের অ্যাক্টিভিটিতে
যুক্ত করানো হয় তাদের। যেমন দীপাবলির জন্য রঙবেরঙের মাটির প্রদীপ তৈরি করা হয় এখানে। এই প্রদীপ তৈরি করা থেকে রঙ করা, সবটাতেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা ও তাদের অভিভাবকরা। কয়েকবছর আগেই এই প্রয়াস শুরু করেছি আমরা। যত দিন যাচ্ছে, ততই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সাড়া ফেলছে ‘জাগরী’র শিশুরা।’
চলতি বছরে ডেনমার্ক, বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের হাতে রঙ করা মাটির প্রদীপ। দেশের মধ্যে দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরুতেও পৌঁছেছে। অমৃতা জানালেন, ‘দীপাবলির দু’মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। যা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা কাজ করে সকলেরই মধ্যে। তবে শুধু দীপাবলি নয়, বছরভর ‘জাগরী’তে তৈরি সামগ্রী বিদেশের বহু বাঙালি সংগঠন কেনে। এই ধরনের জিনিস বিক্রি করে যা লাভ হয়, তা সংস্থার কাজেই ব্যয় করা হয়। কারণ সেভাবে কোনও ফান্ড আমরা পাই না। কাছের বন্ধুরা পাশে থাকেন। তাঁদের সহায়তাতেই ‘জাগরী’র পথচলা।’
২০১৫ সাল। পেশায় শিক্ষিকা অমৃতা মুখার্জি নিজের দায়িত্বে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের থেরাপির ব্যবস্থা শুরু করেন। তাঁর একমাত্র সন্তান বুরুন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। সন্তান জন্মানোর কয়েক মাসের মাথায় সেটি টের পান অমৃতা। সেই থেকে শুরু লড়াই। বুরুনকে সাধারণ শিশুদের মতো বড় করে তুলতে চান অমৃতা। বুরুনের মতো শিশুদের কথা মাথায় রেখেই শুরু ‘জাগরী’র পথচলা। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে অমৃতা পাশে পেয়েছেন পরিবারের সদস্য, পরিজন এবং প্রিয়বন্ধু সূরজ চক্রবর্তীকে।
অমৃতার কথায়, ‘জাগরী’র বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের মধ্যে কেউ অটিস্টিক, কেউ ডাউন সিনড্রোম, কেউ সেরিব্রাল পলসির। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবন কীভাবে আলোক অভিসারী হয়, সেটাই ‘জাগরী’তে শেখানো হয়। তথাকথিত থেরাপির পাশাপাশি চলে ডান্স ক্লাস, মিউজিক ক্লাস।’ অমৃতা জানালেন, ‘অতিমারির আগে ১০০ জন শিশুর থেরাপি চলত ‘জাগরী’তে। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৬০ জন শিশু আসে। থেরাপির পাশাপাশি সারাবছর নানা ধরনের অ্যাক্টিভিটিতে
যুক্ত করানো হয় তাদের। যেমন দীপাবলির জন্য রঙবেরঙের মাটির প্রদীপ তৈরি করা হয় এখানে। এই প্রদীপ তৈরি করা থেকে রঙ করা, সবটাতেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা ও তাদের অভিভাবকরা। কয়েকবছর আগেই এই প্রয়াস শুরু করেছি আমরা। যত দিন যাচ্ছে, ততই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সাড়া ফেলছে ‘জাগরী’র শিশুরা।’
চলতি বছরে ডেনমার্ক, বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের হাতে রঙ করা মাটির প্রদীপ। দেশের মধ্যে দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরুতেও পৌঁছেছে। অমৃতা জানালেন, ‘দীপাবলির দু’মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। যা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা কাজ করে সকলেরই মধ্যে। তবে শুধু দীপাবলি নয়, বছরভর ‘জাগরী’তে তৈরি সামগ্রী বিদেশের বহু বাঙালি সংগঠন কেনে। এই ধরনের জিনিস বিক্রি করে যা লাভ হয়, তা সংস্থার কাজেই ব্যয় করা হয়। কারণ সেভাবে কোনও ফান্ড আমরা পাই না। কাছের বন্ধুরা পাশে থাকেন। তাঁদের সহায়তাতেই ‘জাগরী’র পথচলা।’
