আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ প্রায় ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইজরায়েল দু’‌পক্ষই। হামাসের হাতে যারা বন্দি রয়েছেন, তারা মুক্তি পেতে চলেছেন। তবে এতেও শর্ত আছে। পাল্টা ইজরায়েলকে মুক্তি দিতে হবে জেলবন্দি প্যালেস্তাইনিদের। 


সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে হামাস ও ইজরায়েল। প্রসঙ্গত, প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ। 


যার শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করেছিল কাতার, মিশর, সৌদি আরব। এদিকে, গাজা যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও যুদ্ধবিরতির বৈঠকে নিয়মিত যোগ দিয়েছিল আমেরিকাও। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মিশরের কায়রোতেও বৈঠকে বসেছিলেন হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থকও হয়। তখনই শোনা গিয়েছিল সব ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতে পারে। স্বাক্ষরিত হতে পারে পণবন্দিদের মুক্তির চুক্তি। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।


এটা ঘটনা, হামাসের প্রথম হামলার পর পাল্টা প্রত্যাঘাত করেছিল ইজরায়েল। হামাস প্রথমে আকাশ, স্থলপথে আক্রমণ করেছিল। ১২০০ সাধারণ মানুষ ও সেনাকে হত্যা করে তারা। অপহরণ করা হয় ২৫০ জনকে। পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েলও। হামাসের ঘাঁটি গাজায় মুহূর্মুহূ হামলা চালিয়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। গাজায় বাড়িঘর তো দূর, হাসপাতাল, স্কুল বলেও আর কিছু নেই। ইজরায়েলের আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৪৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ।


প্রসঙ্গত, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন। এমনকী ট্রাম্প হামাসকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে যুদ্ধ না থামালে এবং বন্দিদের মুক্তি না দিলে, ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। এরপরই এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা।