আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বকাপ চলাকালীন হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ভারতীয় মহিলা দলের অলরাউন্ডার অমনজ্যোত কৌরের ঠাকুমার। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক লরা উলভার্টের ক্যাচটি যখন তিনি ধরেন, তখনও এই খবর তিনি জানতেন না। তাঁকে সেই খবর জানানো হয়নি। যাতে বিশ্বকাপ থেকে ফোকাস সরে না যায়। এদিকে বিশ্বকাপের পর ছড়িয়ে পড়ে, ভারতীয় ক্রিকেটারের ঠাকুমা আর নেই। সত্যিই কি তাই? এই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অমনজ্যোত।
ঘটনা হল, অমনজ্যোতের ঠাকুমা জীবিত আছেন। অসুস্থ হয়েছিলেন ঠিকই, তবে এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু অমনজ্যোতের বাবা ভূপিন্দর সিংয়ের বক্তব্যকে বিকৃত করে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে, ক্রিকেটারের ঠাকুমা প্রয়াত। অমনজ্যোত সোশাল মিডিয়ায় খোলসা করে জানিয়েছেন তাঁর ঠাকুমা ভাল আছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সবাইকে জানাতে চাই ঠাকুমা আগের থেকে অনেক অনেক ভাল আছেন। দয়া করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না। যাঁরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত, তাঁদেরকে ধন্যবাদ।’ ঠাকুমার জন্য লিখেছেন, ‘আমার ৯০–র বাচ্চাটা দারুণ আছে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বজয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে অমনজ্যোতের বাবা ভূপিন্দর সিং বলেছিলেন, ‘ছোট থেকেই ওর ছায়াসঙ্গী আমার মা ভগবন্তী। ওর শক্তির স্তম্ভ ছিল ঠাকুমা। আমি যখন বালোঙ্গিতে দোকানে কাঠের কাজে ব্যস্ত থাকতাম, তখন অমনজ্যোতের দেখাশোনা করত আমার মা। গত মাসে মা হৃদরোগে আক্রান্ত হল। আমরা অমনজ্যোতকে কিছুই জানাইনি। জানালে ওর মনঃসংযোগ নষ্ট হতে পারত। মায়ের চিকিৎসার জন্য গত কয়েকদিন আমাদের হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। এই টালমাটাল সময়ে বিশ্বকাপ জয় অবশ্যই আমাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছে।’ এই বার্তাতেই অনেকে ধরে নেন অমনজ্যোতের ঠাকুমা মারা গিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। অবশেষে খোলসা করলেন ক্রিকেটারটি।
এদিকে, বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন অমনজ্যোত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আট নম্বরে নেমে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে ১২৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেখান থেকে তাঁর এই ইনিংস। বল হাতেও নিয়েছেন ছ’টি উইকেট। ফাইনালে অসাধারণ ক্যাচ ছাড়াও তাজমিন ব্রিটসকে রান আউট করেন তিনি।
