আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুল চলাকালীন টিফিন পিরিয়ডে দুপুরের খাবার খেতে বসেছিল ছাত্রটি। বাড়ি থেকে লুচি নিয়ে এসেছিল সে। খাওয়া শুরু করতেই বিপত্তি। একত্রে তিনটির বেশি লুচি এক সঙ্গে মুখে পুরে দেওয়ার পর গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হল এক স্কুল পড়ুযার। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বেগমপেট থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম বীরেন জৈন। বয়স ১১ বছর। বাবার নাম গৌতম জৈন। হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল বীরেন। সোমবার দুপুরে টিফিন করার সময় গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। যদিও কেন ওই ছাত্রটি এক লপ্তে এত বেশি খাবার মুখে দিয়েছিল তা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
ছাত্রটির বাবা গৌতম তাঁর সন্তানের এই মর্মান্তিক পরিণততে শোকাহত। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, সকালে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। তাঁকে জানানো হয়, বীরেন এক সঙ্গে তিনটির বেশি লুচি খেয়ে ফেলায় তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্কুলের কর্মীরা ওই ছাত্রকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে একটি বেসরকারি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কয়েক দিন আগে কেরালার ওয়ালায়ারের বাসিন্দা সুরেশ একটি খাদ্য প্রতিযোগিতায় এক সঙ্গে তিনটি ইডলি খেতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে মারা যান। ওনামের সময় স্থানীয় ক্লাব দ্বারা অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতা জিততে এক সঙ্গে তিনটি ইডলি মুখে পুরে ফেলেছিলেন সুরেশ। এর পরেই তাঁর অস্বস্তি হতে শুরু করেন। সামনে থাকা লোকজন তাঁর মুখ থেকে ইডলিগুলি বার করে ফেললেও অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
