আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেশনের জন্য বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ চাল খোলা বাজারে বিক্রি প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করে দিল হুগলি গ্রামীণ থানার পুলিশ। একটি লরিকে আটক করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার কেজি চাল এবং আটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের চন্ডীতলার এসডিপিও তমাল সরকার জানান, চন্ডীতলা থানা একটি সূত্র মারফত খবর পায় যে রেশনের চাল এবং আটা খোলা বাজারে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। ওসি অনিল রাজ খবর পেয়েই স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও পুলিশের দল পাঠানোর ব্যবস্থা করেন চন্ডীতলার জঙ্গলপাড়া এলাকায়। সেখানেই পুলিশি নাকা তল্লাশির সময় একটি লরিকে আটক করা হয়। একটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৩৭,৫০০ কেজি চাল এবং আটা আটক করা হয়। এসডিপিও বলেন, "এই চাল এবং আটা কোথা থেকে এল, কারা বিক্রি করল গোটা বিষয়টাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
হুগলি জেলা পরিষদের খাদ্য-কর্মাধ্যক্ষ শামিম আহমেদ কয়েকদিন আগে ডানকুনিতে একটি গুদামে পুলিশ নিয়ে নিজে অভিযান চালান সেখান থেকে রেশনের চাল আটা আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কও কি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম? উত্তরটি আপনাকে অবাক করে দেবে
শামিম চন্ডীতলার ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, "এর আগে ডানকুনিতে আমি নিজে হাতে ধরেছিলাম। আজকে যেটা হয়েছে সেটা হুগলি গ্রামীন পুলিশ এলাকায়। ইবি ও চন্ডীতলা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ধরেছে। আমাদের খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। গোডাউনের যে মালিক তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লরির চালক খালাসি ও গ্রেপ্তার হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও বলেন, "সাধারণ গরিব মানুষের জন্য যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রেশনে এগুলো যাতে বাইরে না যায় সেটা দেখার জন্য সব দপ্তরকে বলা হবে। কারা এই কাজ করছে সেটাই তদন্ত করে বের করতে হবে। কোনও সরকারি গোডাউন থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোনও ডিসট্রিবিউটার বা রেশন ডিলারের কাছ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে না। এটা কারা বিক্রি করছে সেটাই দেখার।"
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুলাই ডানকুনি এলাকার একটি গোডাউনে হানা দিয়ে গণবন্টন ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ চাল, আটা ও ধান বাজেয়াপ্ত করে ডানকুনি থানা। গ্রেপ্তার করা হয় গোডাউনের মালিক শেখ জাহিরউদ্দিকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫৫১ বস্তা আটা, ২০ বস্তা চাল ও ৬৪ বস্তা ধান।
আরও পড়ুন: ‘আমিষ’ দুধ ভারতে বিক্রি করতে চায় আমেরিকা! কী সেই তরল, কীভাবে উৎপাদন করা হয়, খাওয়া স্বাস্থ্যকর তো?
গত বছর ডিসেম্বরে হুগলিতে পাচার হওয়ার আগেই নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়েছিল বিপুল পরিমাণ রেশনের চাল। ৪০০ পাটের বস্তা ভর্তি চাল সহ আটক করা একটি ট্রাক। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চালক ও খালাসিকে। ঘটনাটি ঘটেছিল, ধনিয়াখালি থানার ভান্ডারহাটি এলাকায়। ভান্ডারহাটির ফিডারোডে বিশেষ নাকা চেকিং চালানোর সময় একটি দশ চাকার ট্রাক আটক করা হয়। ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪০০টি পাটের বস্তা ভর্তি চাল উদ্ধার হয়। চালের বস্তাগুলি রেশনের চাল বলে অনুমান করছে পুলিশ। কারণ বস্তার গায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ফুড এন্ড সাপ্লায়ার বিভাগের নাম ও স্ট্যাম্প প্রিন্ট করা আছে।
