আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের কয়েকদিন আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাত্রী। বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাত্রপক্ষও। কিন্তু এর পরে শুভ মুহুরত ছিল প্রায় দুই বছর পর। অন্যথায় হাসপাতালের ওপিডিতে বিয়ে সারলেন ওই যুগল।

বুধবার মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার একটি সরকারি হাসপাতাল এক আবেগঘন এবং অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকল। কারণ, আদিত্য সিং এবং নন্দিনী সোলাঙ্কির বিয়ের আয়োজনের জন্য হাসপাতালের ওপিডি বিবাহস্থলে রূপান্তরিত হয়েছিল।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথিতে ওই যুগল বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে বিয়ের প্রায় এক সপ্তাহ আগে নন্দিনী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাঁর নিজের শহর কুম্ভরাজের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হলেও, তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বিনাগঞ্জ এবং পরে ৫০ কিলোমিটার দূরে বিওরার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

যদিও তাঁর স্বাস্থ্যে উন্নতি হচ্ছিল, ডাক্তাররা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ঐতিহ্যবাহী বিবাহ অনুষ্ঠানের যে কোনও সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন। এর পরের শুভলগ্ন ছিল দুই বছর পর। উভয় পরিবারই সিদ্ধান্ত নেয় যদি হাসপাতালের ভিতরেই বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যায়। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। অনুষ্ঠানের জন্য ওপিডি এলাকা সাজানোর অনুমতি দেয়। আদিত্য তার বাড়ির লোকজন নিয়েই হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু অন্যান্য রোগীদের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডপার্টি বাদ দেওয়া হয়েছিল।

রাত ১টায়, ডাক্তার ও নার্সদের সতর্ক নজরদারিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সাতপাকের সময় তৈর হয় মর্মস্পর্শী মুহূর্তে, আদিত্য নন্দিনীকে কোলে তুলে নিয়ে আগুনের চারপাশে ঘোরেন। আত্মীয়স্বজনরা দম্পতিকে ফুলের পাপড়ি বর্ষণ করেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নন্দিনীকে সাত দিন আগে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। ভালোবাসায় ভরা এই অনন্য অনুষ্ঠান সেখানে উপস্থিত অনেককে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে।