বর্তমানে, চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং দ্রুত বর্ধনশীল ব্যয় মানুষকে অতিরিক্ত আয়ের সন্ধানে ব্যবসা শুরু করতে বাধ্য করেছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ব্যবসা শুরু করার জন্য উল্লেখযোগ্য মূলধন এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োজন। তবে সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবসায়িক দক্ষতার সঙ্গে, অল্প বিনিয়োগেই উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
2
6
ভারত সরকার স্টার্টআপ এবং স্ব-কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পও পরিচালনা করছে। তাই, মাত্র এক লক্ষ টাকা মূলধন দিয়ে, আপনি এমন ব্যবসা শুরু করতে পারেন যা আপনাকে ভবিষ্যতে আর্থিকভাবে স্বাধীন করে তুলতে পারে।
3
6
টিফিন পরিষেবা: শহরাঞ্চলে কর্মজীবী মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে টিফিন পরিষেবার চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার যদি রান্নার দক্ষতা থাকে, তাহলে ৫০,০০০ থেকে এক লক্ষ টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে, গ্যাস, বাসনপত্র, প্যাকিং উপকরণ এবং ডেলিভারির ব্যবস্থা প্রয়োজন। সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপনার ব্যবসার প্রচার করে আপনি সহজেই গ্রাহক নজর কাড়তে পারেন। ভাল জায়গা এবং উন্নতমানের খাবার থাকলে, আপনি প্রতি মাসে ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন।
4
6
মোবাইল কভার এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দোকান: আজকাল সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ফলে, প্রতিটি শহরে মোবাইল আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি ৮০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে একটি ছোট দোকান বা স্টল খুলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মোবাইল কভার, ইয়ারফোন, চার্জার, টেম্পারড গ্লাস ইত্যাদি ভাল বিক্রি হয়। লাভ ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। দোকানটি যদি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত হয়, তাহলে এই ব্যবসা থেকে ভাল আয় হতে পারে।
5
6
সরবতের দোকান: ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে, তাজা সরবত এবং স্বাস্থ্যকর পানীয়ের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সরবতের দোকান প্রায় ৭০,০০০ থেকে এক লক্ষ টাকায় খোলা যেতে পারে। এর জন্য একটি দোকান বা কার্ট, একটি মিক্সার, একটি জুসার এবং তাজা ফলের প্রয়োজন।
6
6
জিম, অফিস এলাকা বা কলেজের কাছাকাছি সরবতের দোকান হলে লাভের আসা বেশি। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলে, আপনি প্রতিদিন দুই থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন।