আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়ানাডের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর সাংসদ হিসাবে সংসদে পা রেখেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। নেহেরু-গান্ধী পরিবার থেকে তিনি চোদ্দোতম সাংসদ। দাদা রাহুল গান্ধী লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়ানাড আসন থেকে জয়লাভ করেন। রায়বরেলীর আসনটি ধরে রেখে ওয়ানাডটি ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কার জন্য। সেখান থেকে জিতে ২৮ নভেম্বর সাংসদ হিসাবে শপথ নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি, রাহুল এবং সনিয়া-সহ বর্তমানে তিন জন সাংসদ নেহেরু-গান্ধী পরিবার থেকে রয়েছেন।
সনিয়া বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। ২০২৪ সালে রাজস্থান থেকে সাংসদ হিসাবে মনোনীত হন তিনি। প্রিয়াঙ্কা গত এক দশক ধরে সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে থাকলেও নির্বাচনে হাতেখড়ি হয়েছে সদ্যই। সনিয়া ৬ বারের সাংসদ। এক বার অমেঠী এবং পাঁচ বার রায়বরেলী থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাহুল পাঁচ বারের সাংসদ। তিনি বার অমেঠী, এক বার ওয়ানাড এবং এক বার রায়বরেলী থেকে সাংসদ হয়েছেন তিনি।
নেহরু-গান্ধী পরিবারের অন্যান্য সদস্য যাঁরা কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন তাঁরা হলেন – ১৯৫২-৬৪ ফুলপুর থেকে জওহরলাল নেহেরু, ১৯৬৪-৬৯ ফুলপুর থেকে বিজয়লক্ষ্মী পন্ডিত, ১৯৫২-৬২ এবং ১৯৬৩ উমা নেহেরু সীতাপুর থেকে, রায়বরেলী, ১৯৬৪-৮৪ পর্যন্ত চিকমঙ্গালুর এবং মেদক থেকে ইন্দিরা গান্ধী, ১৯৫২-৬০ রায়বরেলী থেকে ফিরোজ গান্ধী, ১৯৬৩-৬৯ রাজ্যসভায় শ্যাম কুমারী নেহেরু, ১৯৮০-৮৯ রায়বরেলি এবং বিলহাউর থেকে অরুণ নেহেরু, ১৯৮১-৯১ অমেঠী থেকে রাজীব গান্ধী, ১৯৮০ সালে অমেঠী থেকে সঞ্জয় গান্ধী।
গান্ধী ছাড়াও আরও বেশ কিছু পরিবার বর্তমানে সংসদের দুই কক্ষের সদস্য। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম রাজ্যসভার সদস্য এবং তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরম লোকসভার সাংসদ৷ কংগ্রেসের সঙ্গী দ্রাবিড় মুনেত্র কাঝগম (ডিএমকে) প্রধান এমকে স্ট্যালিনের বোন কে কানিমোঝি। যিনি থুথুকুডি লোকসভা আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। স্ট্যালিনের আত্মীয় দয়ানাধি মারান চেন্নাই সেন্ট্রাল আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। দয়ানিধির বাবা মুরাসোলি মারান ছিলেন ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এম করুণানিধির ভাগ্নে।
যাদব পরিবার থেকে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নির্বাচিত সংসদ সদস্য রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদব কনৌজ থেকে এবং তাঁর স্ত্রী ডিম্পল যাদব মইনপুরি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এসপি-র প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবের ছোট ভাইেয়র দুই ছেলে ধর্মেন্দ্র যাদব এবং আদিত্য যাদব যথাক্রমে আজমগড় এবং বদায়ুঁর প্রতিনিধিত্ব করে। মুলায়ম সিং যাদবের চাচাতো ভাই রামগোপাল যাদব রাজ্যসভায় এসপি-র প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তাঁর ছেলে অক্ষয় যাদব ফিরোজাবাদ লোকসভার সাংসদ।
বিহারের স্বতন্ত্র সাংসদ রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব পূর্ণিয়া লোকসভার প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং তাঁর স্ত্রী রঞ্জিৎ রঞ্জন ছত্তিশগড় থেকে কংগ্রেস মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। সিন্ধিয়া রাজপরিবারেও সংসদে দু'জন প্রতিনিধি রয়েছেন। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্যন্ত সিং ঝালাওয়ার-বরান থেকে বিজেপির সাংসদ। বসুন্ধরার ভাগ্নে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া গুনা লোকসভার প্রতিনিধিত্ব করেন।
এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের পরিবারের তিনজন সংসদের প্রতিনিধির হিসাবে রয়েছেন রয়েছেন। পাওয়ার এনসিপি থেকেই রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন। তাঁর মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে সংসদে বারামতি লোকসভার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ভাগ্নে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারও এনসিপি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ। গৌড়া পরিবারের দু'জন সাংসদ রয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া যিনি জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ)-এর রাজ্যসভার সাংসদ এবং তাঁর ছেলে এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী মান্ডিয়া কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন।
