আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাঁ খাঁ করছে গোটা এলাকা। একসময়ের সখের বাগান আজ জঙ্গল। রাস্তা দিয়ে মাঝেমাঝে এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে সাপ। দিনের বেলাতেও গা ছমছম করে। হুট করে চলে এলে মনে হবে যেন কোনও রাক্ষস একরাতেই সবাইকে শেষ করে এখানে নিজে বসবাস করছে। জায়গাটা পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির বেনা গ্রাম। ভূতের আতঙ্কে এই গ্রাম জনমানবহীন। প্রায় ২০ বছর আগে অশরীরীর ভয়ে এক এক করে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন বাসিন্দারা।
শুধু একটি দিনেই তাঁরা আবার ফিরে আসেন তাঁদের বেনা গ্রামে। লক্ষ্মীপুজোর দিন। গ্রামে রয়েছে তাঁদের লক্ষ্মী মন্দির। গ্রামের কিছু বাসিন্দা উদ্যোগ নিয়ে মন্দিরটি সংস্কার করেছেন। তবে সন্ধে নামতেই গ্রাম ছেড়ে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। নতুন এই মন্দিরে ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে। পুজোর আয়োজনের ফাঁকে ফাঁকেই তাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের পূর্ব পুরুষদের ভিটে দেখতে। যা এককথায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তবে পুজো হলেও গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা আর এখানে ফিরে আসবেন না। অথচ গ্রামের পাশ দিয়ে গিয়েছে রেললাইন। আসানসোল পুর নিগমের তরফে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তা। রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে খুঁটি বসিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বিদ্যুৎ। কিন্তু পৌর বা অন্যান্য সুবিধা থাকলেও গ্রামে ফিরতে রাজি নয় কেউ।
যদিও ভূতের দাবির বিপক্ষ মতামতের কথাও শোনা গিয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন মাজি বলেন, এক সময় গ্রামে জল, বিদ্যুৎ বা অন্যান্য কোনও সুবিধা ছিল না। যার জন্য লোকজন বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যান। মুখে মুখে রটে যায় ভূতের ভয়ে লোকেরা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছেন। আস্তে আস্তে সেই কথাই বাইরের জগৎ বিশ্বাস করতে শুরু করে।
