আজকাল ওয়েবডেস্ক: জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার। শুক্রবার সকাল অনুভূত কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭ এবং ৬.৪। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। মায়ানমারের মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ইরাবতী নদীতে ধসে পড়েছে এবং বিশাল ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের কাছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও। মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে মায়ানমারে।
আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে। গভীরতা ছিল ১০ কিমি। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে ব্যাংককে কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, থাইল্যান্ডের রাজধানীতে একটি বহুতল ভবন ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পের ফলে মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বহুতল ভবনের সুইমিং পুল জল ছিটকে পড়তেও দেখা গিয়েছে।
Bangkok earthquake right now #bangkok #earthquake #bkknews #bkk #แผ่นดินไหว #deprem #myanmar
— bahisşikayet (@Bahis_sikayetim)
Myanmar'da 7.7 şiddetinde deprem meydana geldi... pic.twitter.com/9TtEGNutfgTweet by @Bahis_sikayetim
ভূমিকম্পের আঘাতে বেশ কয়েকটি ভবন দুলতে থাকায় সেখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে থাই রাজধানীতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
Whole Bangkok shook like Crazy! #Bangkok #earthquake pic.twitter.com/99v7ySZDGc
— Srushti Gopani (@DrSrushtiG)Tweet by @DrSrushtiG
মায়ানমারে ভূমিকম্পের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। যেখানে ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত সাগাইং ফল্টের কাছে ৭.০ মাত্রার বা তাঁর বেশি ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। মধ্য মায়ানমারের প্রাচীন রাজধানী বাগানে ২০১৬ সালে ৬.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিনজন নিহত হন। পর্যটন কেন্দ্রের চূড়া ভেঙে যায় এবং মন্দিরের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলিতে।
(ছবি: রয়টার্স।)
