আজকাল ওয়েবডেস্ক: মরচে ধরা রড নিয়ে খেলতে খেলতে পা পিছলে পড়ে গিয়েছিল হলদিয়ার তিন বছরের শিশু মৌমিতা দাস। অঘটন ঘটে এরপরেই। রড সোজা মুখে ঢুকে টাগরা ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়। গলগলিয়ে বেরোতে থাকে রক্ত। কলকাতা নিতে গেলে সময় চলে যাবে সেটা বুঝে শিশুটির বাড়ির লোক তাকে নিয়ে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ শিবশঙ্কর দে এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে রড বের করে শিশুটির প্রাণ রক্ষা করেন।‌

 জানা গিয়েছে, হলদিয়ার ভবানীপুর থানার বাড় উত্তরহিংলির বাসিন্দা মৌমিতা বাড়িতে জানালার একটি মরচে ধরা রড নিয়ে খেলছিল। আচমকাই পা পিছলে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেইমতো বাড়ির লোক রওনা দেয়। কিন্তু পথে অনবরত রক্তপাত হতে থাকায় তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরিয়ে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে মৌমিতাকে নিয়ে যান তার পরিজনরা। তখন ডিউটিতে ছিলেন অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ শিবশঙ্কর দে। পরিস্থিতি দেখেই তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। দ্রুত ইএনটি সার্জন ডাঃ তিতাস কর এবং অ্যানেস্থেটিস্ট ডাঃ বিদিশা মুখোপাধ্যায় ও ডাঃ সৈকত ভট্টাচার্যকে নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়। দেড় ঘন্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। সফল অস্ত্রোপচারের পর মৌমিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিসিইউতে। উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গোটা চিকিৎসাই হয়েছে বিনামূল্যে যা কোনও বেসরকারি হাসপাতালে যথেষ্ট ব্যয়বহুল। 

ডাঃ শিবশঙ্কর দে বলেন, ‘‌এমার্জেন্সিতে ওই শিশুকে দেখার পরেই আমি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। চার জন চিকিৎসক নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়। সফলভাবেই সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে এবং শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।’‌