আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৬ সালে বাজেট হ্রাসের কারণে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দুই হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মহাকাশ সংস্থাকে অর্থের অনুদান দিতে আর আগ্রহী নন। ইতিমধ্যেই নাসার জন্য বরাদ্দ অর্থের বিশাল অংশ প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন। যার ফলে বেশ কয়েকটি মহাকাশ অভিযান প্রভাবিত হচ্ছে।
সূত্রের দাবি, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সদস্য রয়েছেন যাদের অভিজ্ঞতা নাসার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ ছিল। মোট ২,১৪৫ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নাসার এই কর্মীদের মধ্যে ১,৮১৮ জন বিজ্ঞান এবং মানব অভিযানের মতো মূল মিশনগুলিতে কাজ করেন। তালিকার বাকিরা তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এর মতো ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকায় রয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং আসন্ন মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে নাসার উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালে নাসার বাজেট কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। যার ফলে বহু কর্মসূচি এবং মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর্টেমিস মিশনের, যা ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এর আগে একটি সূত্র দাবি করেছিল, ট্রাম্প নাসার বিজ্ঞান বাজেটের ৫০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছেন। প্ল্যানেটারি সোসাইটি সেই সময় আশঙ্কা করেছিল যে এর ফলে ব্যাপক ছাঁটাই হবে। সেই আশঙ্কা শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে পারে। সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে একটি স্বাক্ষরিত চিঠি হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়েছিল। যেখানে অনুরোধ করা হয়েছিল বাজেটে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে।
গত সপ্তাহে নাসার বিজ্ঞান মিশন দপ্তরের প্রাক্তন প্রধানরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, নাসার বাজেট কমানো হলে মহাকাশ অভিযানে চীন টেক্কা দেওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। তাঁদের মধ্যে সাতজন হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবিত ৪৭ শতাংশ বাজেট কমানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি যৌথ চিঠিতে লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, "এই প্রস্তাবিত কাটছাঁটের অর্থনীতি একটি মৌলিক সত্যকে উপেক্ষা করে: নাসার বিজ্ঞানে বিনিয়োগ মার্কিন অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত নেতৃত্বের একটি শক্তিশালী চালিকাশক্তি ছিল এবং এখনও আছে।"
