আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামান্য বচসার জেরে ইট দিয়ে মাথায় মেরে খুন, ১৪ বছর পর চন্দননগর আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দোষীর। ২০১১ সালে তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ডে দুই প্রৌঢ়ের মধ্যে সামান্য বচসা হয়। একজন আধলা ইট দিয়ে আরেকজনের মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু হয় নবকুমার খাঁড়ার (৫৮)। অভিযুক্ত কাশিনাথ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারকেশ্বর মুক্তারপুরে বাড়ি দু’জনেরই।
চন্দননগর আদালতের সরকারি আইনজীবী গোপাল পাত্র বাদির পক্ষে এই মামলা লড়েন। তিনি বলেন, ২০১১ সালের ২৬ জুলাই তারকেশ্বর আমতলা স্ট্যান্ডে নবকুমার খাঁড়া ও কাশীনাথ মণ্ডলের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বচসা হচ্ছে দেখে স্থানীয় দুই দোকানদার স্বপন সামন্ত এবং সুধাংশুশেখর খাঁড়া তাদের থামিয়ে দেন। পরে কাশীনাথ রাগের বশে প্রথমে কাঠ এবং পরে আধলা ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে নবকুমারের। স্থানীয়রা তাঁকে তারকেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন উদয়শঙ্কর রায়। মামলা চলাকালীন কাশীনাথ মণ্ডল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়। পরে গত ৭ মে চন্দননগর আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টে জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলাটি উঠলে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মোট ১৩ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে শুক্রবার বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন।
সাজা ঘোষণার পর নবকুমারের ছেলে তরুণ কুমার খাঁড়া বলেন, প্রতিবেশী কাশীনাথ এর সঙ্গে কোনও শত্রুতা ছিল না। নেহাতই রাগের বসে বাবাকে খুন করেছে। এর আগেও একজনকে ছুরি মারায় অভিযুক্ত ছিল। সেই যাত্রায় ওই ব্যক্তি বেঁচে গেলেও বাবাকে খুন করার উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে।
