আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিরক্ষা অভিযান এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য দেশের সমস্ত সংবাদমাধ্যম চ্যানেলগুলির উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পহেলগাঁও হানার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে, সমস্ত মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সংবাদ সংস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয় প্রকাশ করার সময় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন এবং বিদ্যমান আইন ও বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।"

আরও বলা হয়েছে, "বিশেষ করে: প্রতিরক্ষা অভিযান বা সেনার গতিবিধি সম্পর্কিত 'উৎস-ভিত্তিক' তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনও রিয়েল-টাইম কভারেজ, ভিজ্যুয়াল প্রচার বা প্রতিবেদন করা উচিত নয়। সংবেদনশীল তথ্যের প্রকাশ অসাবধানতাবশত শত্রুপক্ষকে সহায়তা করতে পারে এবং অভিযানের কার্যকারিতা এবং সেনাকর্মীদের নিরাপত্তা বিপন্ন করতে পারে।"

নির্দেশিকা মন্ত্রকের তরফ থেকে কার্গিল যুদ্ধ এবং মুম্বই জঙ্গি হামলা-সহ অতীতের বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে অনিয়ন্ত্রিত মডিয়া কভারেজের ফলে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিকূলের মুখে পড়তে হয়েছিল।

এর আগে মন্ত্রক ইতিমধ্যেই সমস্ত টিভি চ্যানেলকে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সংশোধন) বিধি, ২০২১ এর নিয়ম ৬(১)(পি) মেনে চলার জন্য পরামর্শ জারি করেছে। নিয়ম ৬(১)(পি) বলে যে, "কেবল পরিষেবায় এমন কোনও অনুষ্ঠান প্রচার করা উচিত নয় যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সরাসরি সম্প্রচার থাকে। যেখানে মিডিয়া কভারেজ যথাযথ সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কর্মকর্তার দ্বারা পর্যায়ক্রমিক ব্রিফিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যতক্ষণ না এই ধরনের অভিযান শেষ হয়।" 

আরও বলা হয়েছে, "জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় গণমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আইনি বাধ্যবাধকতা ছাড়াও, আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপগুলি যাতে চলমান অভিযান বা আমাদের বাহিনীর নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করে তা নিশ্চিত করা একটি যৌথ নৈতিক দায়িত্ব।"