আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। বিদ্রোহীরা দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরেই সপরিবারে দেশ ছেড়ে মস্কোতে পালিয়ে যান আসাদ। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। মস্কোয় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পলাতক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী আসমা আল আসাদ। সেখানকার জীবনযাপনে অখুশি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন আসমা। ফিরে যেতে চান লন্ডনে।

আসমার জন্ম ব্রিটেনে। বাবা ছিলেন সেখানকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। মা ছিলেন সিরিয়ার কূটনীতিবিদ। দু’জনেই সিরিয়ার নাগরিক। পরে কর্মসূত্রে লন্ডনে চলে যান। পড়াশোনা লন্ডনেই। কলেজে পড়ার সময়ে বাশারের সঙ্গে পরিচয় হয় আসমার। ২০০০ সালে আসাদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয়েছিল আসমার। সে সময়ে আসমার বয়স ছিল ২৫ বছর। সে বছরই লন্ডন ছেড়ে সিরিয়া চলে আসেন তিনি।

বিভিন্ন বিদেশী সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী আসমা রাশিয়ার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন। মস্কো ছেড়ে চলে যাওয়ার বিশেষ অনুমতিও চেয়েছেন। তাঁর আবেদন খতিয়ে দেখছে রাশিয়ার আদালত। 

২০০০ সালে বাবা হাফিজ আল আসাদের পর সিরিয়ার ক্ষমতায় বসেন বাশার। ২৪ বছর সিরিয়ার গদিতে ছিলেন। গত ১৩ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছিল সিরিয়ার। শেষ কয়েক মাসে বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখল করতে থাকে একের পর এক এলাকা। গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা দামাস্কাস দখল করতেই পতন হয় আসাদের সাম্রাজ্যের। 

সূত্রের খবর, রাশিয়াতে আশ্রয় নিয়েও শান্তিতে নেই আসাদ। তাঁর উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। কোনও রকম রাজনৈতিক কার্যকলাপে যোগ দিতে মানা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁর সমস্ত সম্পত্তি এবং টাকা ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৭০ কেজি সোনা, ২ বিলিয়ন ডলার এবং মস্কোর ১৮টি আবাসন।