আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের মধ্যে বিদেশীর সংখ্যা কমাতে হবে। এর ফলে নিজেদের অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনল ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। এই পরিবর্তনের কারণে সে দেশে কাজ করার ভিসা এবং পড়াশোনা করতে যেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ভারতীয়দের।

ব্রিটেনে দক্ষ কর্মীদের ভিসা পাওয়ার শর্তে একটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন কেবলমাত্র সেই বিদেশী দক্ষ কর্মীরাই ভিসা পাবেন যাদের ডিগ্রি স্তরের যোগ্যতা রয়েছে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগে বেশ জটিলতা থাকে। সেই ক্ষেত্রগুলিতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হলেও ভিসা দেওয়া হবে। ব্রিটেনের বাইরের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সে দেশের সরকার নতুন শর্ত আরোপ করার কথাও বিবেচনা করছে।

এর আগে পাঁচ বছর কেউ ব্রিটেনে থাকলে সে দেশের স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুবিধা পেতেন। সেই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ১০ বছর পরে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে। যদি ব্রিটেনের সরকার ভাবনাচিন্তা করে দেখছে যে, যদি কেউ দেশের অর্থনীতিতে তাঁর অবদান রাখেন সেই জন্য বিশেষ পয়েন্ট দেওয়া হবে। যা কিনা নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবে। 

ব্রিটেনে পড়ছেন এমন শিক্ষার্থীরা স্নাতক ভিসা পেয়ে থাকেন। যাকে পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসাও বলা হয়। এর মাধ্যমে বিদেশী শিক্ষার্থীরা স্নাতক হওয়ার পর দুই বছর দেশে কাজ করতে পারতেন। যা এখন কমিয়ে ১৮ মাস করা হয়েছে। সরকার বিদেশী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি থেকে ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আয়ের উপর ৬ শতাংশ কর বসানোর পরিকল্পনাও করছে। এই অর্থ উচ্চশিক্ষা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক খাতে ব্যবহার করা হবে।

ব্রিটেনের সরকারি ভাষা ইংরেজি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সকল ধরণের কাজের ভিসার জন্য ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভিসাধারীদের প্রাপ্তবয়স্কদে ইংরেজি জানতে হবে। যারা ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার কথা ভাবছেন বা ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা ভাবছেন তাঁদের ইংরেজি ভাষার উপর কতটা দক্ষতা রয়েছে তা দেখাতে হবে।