আজকাল আট থেকে আশি সকলেই চুলের সমস্যায় ভুক্তভোগী। কারওর চুল পড়ে ফাঁকা মাথা, কারওর আবার রুক্ষ-শুষ্ক চুলের বেহাল দশা। কেউ কেউ ভুগছেন অকালপক্কতার সমস্যায়। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনী থেকে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার, কোনও কিছুরই খামতি রাখেন অনেকে। কিন্তু তাতেও সবসময় সুফল পাওয়া যায় না। আসলে আমরা প্রায়ই চুলের যত্নে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল এবং মাস্কের দিকে বেশি মনোযোগ দিই। কিন্তু জানেন কি রাতে আট ঘণ্টা ধরে যে বালিশের উপর মাথা রাখেন, সেই বালিশের কভারও চুলের স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুল ধরনের বালিশ কভার চুলকে রুক্ষ-শুষ্ক করে তুলতে পারে। সাধারণত কটন বালিশ নরম এবং আরামদায়ক হলেও এটি চুলের জন্য ভাল নয়। কটনের ঘর্ষণ চুলকে ফ্রিজি এবং ভঙ্গুর করে তুলতে পারে। এছাড়াও কটন চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় যা চুলকে শুষ্ক এবং প্রাণহীন করে তোলে। বিশেষ করে শুষ্ক, সূক্ষ্ম বা কালার হেয়ারের ক্ষেত্রে এটি আরও ক্ষতিকর হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ আরামের ঘুমেই লুকিয়ে বিপদ? বিছানায় উপুড় হয়ে শুলে কী মারাত্মক ক্ষতি হয় জানেন?
অন্যদিকে, সিল্ক এবং সাটিনের বালিশ কভার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেক বেশি উপকারী। এই মসৃণ উপাদান চুলের ঘর্ষণ কমায়। ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেল থাকে এবং রুক্ষতাও আসে না। এছাড়াও, সিল্ক ও সাটিন ত্বক ও স্ক্যাল্পের জন্য ভাল এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক, যা চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বালিশের কভার নিয়মিত না ধোয়া হলে তাতে ধুলো, তেল এবং ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। এর ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চুলের বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার ধোয়া উচিত।

চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় কী কী মেনে চলবেন
*সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
*কটন বালিশ ব্যবহারে চুলের ঘষা কমানোর জন্য হালকাভাবে চুল বাঁধা ভাল।
*বালিশের কভার নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলের স্বাস্থ্য শুধুমাত্র বাহ্যিক পণ্যে নয়, দৈনন্দিন অভ্যাস এবং বালিশের কভারের ধরনেও নির্ভর করে। সঠিক বালিশ ব্যবহার করলে চুল থাকবে মসৃণ, মজবুত এবং সুন্দর।
