আজকাল ওয়েবডেস্ক: চৈত্রের শুরু থেকেই কাঠফাটা রোদের তেজ। সঙ্গে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। কয়েকদিনের মধ্যে গরমের তীব্রতা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে বাইরে না বেরিয়ে উপায় নেই। আর গ্রীষ্মকালে ঠিক কোন পোশাক পরলে স্বস্তি মিলবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। বিশেষ করে জিনস পরতে অনেকেরই অনীহা দেখা যায়। 

বর্তমানে যে কোনও বয়সের পুরুষ-মহিলার মধ্যে জিনসের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ক্লাসি ব্লু ডেনিম থেকে শুরু করে প্যাস্টেল শেড, মিড ওয়েস্ট থেকে হাই রাইস, সব ধরনের জিন্সই আজকাল বেশ ট্রেন্ডিং। স্বাচ্ছন্দ্যের এই প্যান্টের সঙ্গে কুর্তা বা টি-শার্ট পরে নিলেই মহিলারা অফিস থেকে পার্টি, দিব্যি ঘুরে বেড়াতে পারেন। কিন্তু গরমে এই জিনস পরেই অস্বস্তি বেশি হয়। তাহলে জিনসের পরিবর্তে কী কী বটমওয়্যার পরলে আরাম পাবেন? রইল হদিশ-

•    গ্রীষ্মের জন্য একেবারে পারফেক্ট ফ্যাব্রিক হল লিনেন। গরমে এই পোশাক পরে বেশ আরাম পাবেন। শার্ট, কুর্তি ও টপের সঙ্গে মানায় লিনেনের ট্রাউজার্স। তাছাড়া এই ফ্যাব্রিক গায়ের সঙ্গে মিশেও যায় না। জিনসের পরিবর্তে লিনেনের টাউজার্সই রাখতে পারেন কালেকশনে। 

•    গ্রীষ্মকালে রোজকার পরার জন্য সুতির প্যান্ট রাখতে পারেন। জিনসের সঙ্গে যে সব টপ পরেন, সেগুলি এই কটন প্যান্ট দিয়েও পরা যাবে। দু’-তিনটে কটন প্যান্ট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কুর্তার দিয়ে পরলে আরামের সঙ্গে আপোস করতে হবে না। এতে দিব্যি ফর্ম্যাল লুকেও থাকতে পারবেন।

•    গরমে প্রিন্টেড আউটফিটও বেশ চলে। তাই গ্রীষ্মের দাবদাহে ফ্যাশনিস্তা হয়ে উঠতে প্রিন্টের প্যান্ট বেছে নিতে পারেন। সুতির উপর ছোট ছোট প্রিন্টের ট্রাউজার্স বেশ স্টাইলিশ দেখাবে। অফিস ছাড়াও অন্যান্য আউটিংয়ের জন্যও এই বটমওয়্যার ভাল।

•    গরমকালে আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে অস্বস্তি বাড়ে। তাই এই সময় জিনসের চাহিদা থাকে তলানিতে। এই সময়ে ঢিলেঢালা পালাজো পরতে পারেন। টপ, কুর্তা, শার্ট- সব কিছুর সঙ্গেই এখন পালাজো মানিয়ে যায়। রোদে এই বটমওয়্যার পরলে আরাম হবে।

•    অফিসে জগার প্যান্ট পরার উপায় থাকে না ঠিকই। তবে হালকা মেজাজে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা হোক কিংবা টুট টাক প্রয়োজনে বাইরে বেরোলে সুতির জগার প্যান্ট দারুণ মানায়। এতে দেখতে যেমন আকর্ষণীয় লাগে, তেমনই থাকে আরামও।