বর্ষা মানেই প্রকৃতির নতুন প্রাণ। চারদিকে সবুজের ছোঁয়া আর টানা বৃষ্টির জন্য এই মরশুমকে কৃষিকাজের জন্য আদর্শ সময় বলা হয়। তবে শুধু মাঠ কিংবা মাঠে নয়, নিজের বাড়ির বারান্দা বা ছাদের ছোট্ট বাগানেও বর্ষাকালে খুব সহজে নানা ধরনের সবজি চাষ করা যায়। এমনিতেও বাজারে দিন দিন সবজির দাম বেড়েই চলেছে। সঙ্গে নানা ধরনের রাসায়নিকের ব্যবহার তো রয়েইছে! তাই পকেট ও স্বাস্থ্য বাঁচাতে বাড়িতেই লাগাতে পারেন বিভিন্ন সবজির গাছ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষাকালে কয়েকটি নির্দিষ্ট সবজি চাষ করলে সহজে ও স্বল্প সময়ে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব। যা বাজারের সবজির চেয়ে স্বাদেও অন্যরকম হবে। 

ঢেঁড়শঃ বর্ষায় ঢেঁড়শ চাষের জন্য খুব ভাল সময়। বৃষ্টি হওয়ার পর সরাসরি মাটিতে ঢেঁড়শ বীজ বপন করা যায়। খুব দ্রুত গাছ বেড়ে ওঠে এবং ফলনও প্রচুর হয়। ঢেঁড়স পুষ্টিগুণেও ভরপুর—এতে থাকে ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

পালং শাকঃ বর্ষার ঠান্ডা ও আর্দ্র পরিবেশে পালং শাক খুব সহজেই জন্মায়। আয়রন, ভিটামিন এ, সি ও কে-তে সমৃদ্ধ এই শাক । গামলায় মাটি ফেলে এই শাক দিব্যি ফলন হতে পারে। খুব বেশি রোদ লাগে না। মাত্র এক মাসের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়। 

আরও পড়ুনঃ বয়স অনুযায়ী লম্বা হচ্ছে না সন্তান? সুষম খাবার ছাড়াও রোজ ১ চামচ খাওয়ান এই পাউডার, তরতরিয়ে বাড়বে শিশুর উচ্চতা

বেগুনঃ বেগুন বর্ষার আবহাওয়ায় দ্রুত বেড়ে ওঠে। পর্যাপ্ত সূর্যালোক ও নিয়মিত জল পেলে এই গাছ ভাল ফলন দেয়। বড় পাত্র বা টবেও সহজেই বেগুন চাষ করা যায়। এতে থাকে প্রচুর ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

শসাঃ বর্ষাকালে শসা চাষ সবচেয়ে লাভজনক। প্রচুর জল পেলে শসা দ্রুত বেড়ে ওঠে। লতা জাতীয় এই সবজিটি টকটকে সবুজ হয়ে ওঠে এবং দ্রুত ফলন দেয়। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে শসার জুড়ি মেলা ভার।

শিমঃ শিম বর্ষাকালে খুব সহজেই জন্মায়। আর্দ্র মাটিতে শিমের চারা দ্রুত বাড়ে এবং নিয়মিত ফলন দেয়। বাড়ির ছোট্ট জায়গাতেও শিম চাষ সম্ভব। এতে থাকে ভিটামিন, প্রোটিন ও ফাইবার যা শরীরের পুষ্টি জোগায়।

বর্ষাকালে মাটির আর্দ্রতা ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে চাষ করা সহজ হয়। তাই এই পাঁচটি সবজি ঢেঁড়শ, পালং শাক, বেগুন, শসা ও শিম-আপনার গাছ বাগানকে করে তুলতে পারে সবুজে ভরপুর। শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয়, বাড়ির পরিবেশও হয়ে উঠবে সজীব ও স্বাস্থ্যকর।