আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কৃমি এক প্রকারের পরজীবী প্রাণী। ভারতীয় জলবায়ুতে কৃমির উৎপাত খুবই বেশি। শিশুদের দেহে এই সমস্যা বেশি দেখা গেলেও যে কোনও বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমেই কৃমি শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পানীয় জলের মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে।
কৃমি হলে মলদ্বারে চুলকানির অনুভূতি হয়। সঙ্গে ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কমে যাওয়াও কৃমির লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় দেখা যায় কৃমি হলে কিছু ক্ষণ পর পর থুতু ফেলতে থাকে শিশু। এমনকি, কৃমির উপদ্রব বাড়লে খিমচে দেওয়া এবং কামড়ে দেওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। অনেক সময়ে মলের মাধ্যমেও কৃমি বেরিয়ে আসে।
অনেক সময়ই ওষুধ খেলেও ফিরে আসে সমস্যা। যদি ওষুধ ছাড়াই কৃমি কমাতে চান তবে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে পারেন। গ্রাম বাংলায় যখন ওষুধপত্র পাওয়া যেত না। তখন এই ধরনের ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা করতেন মানুষ।
কৃমি কমাতে তেতো খেতে বলেন অনেক প্রবীণ মানুষই। কয়েকটি নিমপাতা বেটে ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ নিমপাতা বাটা মিশিয়ে সেই জল খান। তবে যে পাত্রে পাতাবাটা রাখবেন, সেই পাত্রে যেন বাতাস না ঢুকতে পারে।
কাঁচা হলুদ বেটে রস করে নিন। এক চা-চামচ হলুদের রসে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। আধ কাপ গরম জলে সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়েও খেতে পারেন। এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেই উপকার পাবেন।
কৃমির সমস্যা দূর করতে রোজ সকালে খালি পেটে গাজর খান। গাজরে থাকা ভিটামিন এ ও সি, বিটা ক্যারোটিন এবং জিঙ্ক কৃমি আটকাতে সাহায্য করে।
এক টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপের রসের সঙ্গে তিন বা চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে পান করুন। দুই থেকে তিন দিন পান করুন। তাতে কৃমির সমস্যা কমবে।
ভারী খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেলে তা পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে কৃমির লার্ভা মরে যায়।
লবঙ্গের কয়েকটি উপাদান কৃমির ডিম মেরে দেয়। এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট জ্বাল দিন। তার পরে সেই জল পান করুন। এটি দিনে তিনবার খান। এক সপ্তাহ পান করুন। কৃমির সমস্যা কমে যাবে।
