আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুস্থতার জন্য জলপানের কোনও বিকল্প নেই। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জলের গুরুত্ব সকলেরই জানা। কিন্তু জানেন কি জলের গুণে কমতে পারে ওজনও। শুধু তাই নয়, জলেই লুকিয়ে রয়েছে ত্বকের জেল্লা থেকে যৌবন ধরে রাখার চাবিকাঠি। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। জাপানিদের ওয়াটার থেরাপিতেই মেলে বিশেষ সুফল। দীর্ঘকাল ধরে এই জলের থেরাপি ব্যবহার করে আসছেন সেদেশের মানুষেরা। 

জাপানে জলকে সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। জাপানের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসার অংশ এই থেরাপি। যার মূল কথা হল, বিশেষ কায়দায় এবং নিয়ম মেনে জলপান। কী এই ‘জাপানি ওয়াটার থেরাপি?  জাপানি চিকিৎসকদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে খেতে হবে জল। তবে  ঠান্ডা কিংবা খুব গরম নয়, ঘরের তাপমাত্রায় খেলেই মিলবে উপকার। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিন থেকে চার গ্লাস জল খেলেই শরীরে মেদ জমার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। এতে মূলত পেটের চর্বি কমে। 

জাপানিরা দাঁড়িয়ে জল পান করাও পছন্দ করেন না। ওয়াটার থেরাপি বলছে, সবসময়ে বসে জল পান করা উচিত। একইসঙ্গে এই থেরাপিতে একবারে অনেকটা জল খাওয়া চলবে না। এক-দুই চুমুক জল পানের পর ২-৩ মিনিটের ব্যবধান দিন। তারপর আবার জল খান। এই থেরাপিতে সকাল, দুপুর ও রাতের তিনবারের ভারী খাবারের পর পরই জল খাওয়ার নিয়ম নেই। অন্তত আধ ঘণ্টার ব্যবধান রেখে তবেই জলপান করতে হবে। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি জল খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমে। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ওয়াটার থেরাপি বেশ কার্যকর। এই থেরাপি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত ঘুমোলে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই ওজনের পার্থক্য বুঝতে পারবনে। ওয়াটার থেরাপিতে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যও ভাল হয়। ফলে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে না।