সমাজমাধ্যম ও ফুড ট্রেন্ডের দুনিয়ায় ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি চর্চায় ছিল ‘হট হানি’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এটি সাধারণ মধু নয়। মিষ্টির সঙ্গে ঝাল স্বাদের অভিনব মিশ্রণই হল ‘হট হানি’, যা অল্প সময়ের মধ্যেই খাবারপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে।

হট হানি আসলে কী? এটি হল প্রাকৃতিক মধুর সঙ্গে লঙ্কা বা চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে তৈরি একটি বিশেষ সস বা ড্রিজল। কোথাও এতে শুকনো লাল লঙ্কা ব্যবহার করা হয়, আবার কোথাও চিলি অয়েল বা চিলি ইনফিউশন দিয়ে মধুকে ঝাল করা হয়। ফলে একদিকে মধুর মিষ্টতা, অন্যদিকে ঝালের ঝাঁজ-দুটোরই স্বাদ একসঙ্গে পাওয়া যায়।

এই অনন্য স্বাদের কারণেই ২০২৫ সালে হঠাৎ করে গুগল সার্চ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় হট হানি নিয়ে আগ্রহ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় পিৎজা, ফ্রাইড চিকেন, বার্গার কিংবা চিজের সঙ্গে হট হানির ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ধীরে ধীরে ভারতেও এই ট্রেন্ড ছড়িয়ে পড়ছে।

কেন এত জনপ্রিয় হল হট হানি? আসলে খাবারে এখন মানুষ নতুন স্বাদের খোঁজে থাকে। মিষ্টি ও ঝালের এই কম্বিনেশন একঘেয়ে স্বাদ কাটায়। শুধু তাই নয়, হট হানি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। ডিপ হিসেবে ছাড়াও স্যালাড ড্রেসিং বা ডেজার্টের ওপরেও ছড়িয়ে দেওয়া যায় এই মধু।

হট হানির স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত পরিমাণে হট হানি খেলে  উপকার পেতে পারেন। মধু প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এবং লঙ্কায় থাকে ক্যাপসাইসিন, যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ঝাল বা বেশি পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেও সতর্কও করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

হট হানি বাড়িতেই খুব সহজে বানানো যায়। সামান্য মধু হালকা গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা ফ্লেক্স বা কুচনো লাল লঙ্কা মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যায় হট হানি। চাইলে রসুন বা আপেল সাইডার ভিনেগার যোগ করে স্বাদ আরও বাড়ানো যায়। 

সব মিলিয়ে, ২০২৫ সালের ফুড ট্রেন্ড হিসেবে হট হানি প্রমাণ করে দিয়েছে, খাবারের জগতে পরীক্ষানিরীক্ষার শেষ নেই। মিষ্টি আর ঝালের এই অভিনব মেলবন্ধন আগামী দিনেও খাবারপ্রেমীদের তালিকায় শীর্ষেই থাকতে পারে।