আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিভিন্ন সময় আমাদের গায়ে কাঁটা দেয়। নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, কখনও কারও স্পর্শে, কখনও কারও কথা শুনে, কখনও ভয় পেলে বা ঠান্ডা লাগলে কিংবা গান শুনলেও লোম খাড়া হয়ে যায়। অর্থাৎ ত্বকের লোমকূপগুলি শক্ত হয়ে ওঠে। চলতি কথায় একেই বলে গায়ে কাঁটা দেওয়া। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন এমনটা হয়? 

প্রতিটি মানুষের শরীরে লোমের পরিমাণ এবং ধরন, দুই ভিন্ন হয়। কাঁটা দেওয়ার ব্যাপারটা প্রত্যেক স্তন্যপায়ীর শরীরেই হয়ে থাকে। এটি একটি খুব স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোমকূপগুলি দানা দানা আকারে ফুলে ওঠে। আর তাতেই স্বাভাবিক ভাবে রোম খাড়া হয়ে যায়। একেই বলে গায়ে কাঁটা দেওয়া। 

ত্বক যখন ঠান্ডার সংস্পর্শে আসে, তখনই সেই ঠান্ডার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে নিজে থেকেই একটা আবরণ তৈরি করে নেয়। সেই আবরণকেই আমরা কাঁটা দেওয়া বলে থাকি। ঠান্ডা লাগলে বা কোনও কারণে উত্তেজিত হলে, শরীরে লোমের ফলিকলের গোড়ায় যে সব মাংসপেশী থাকে, সেগুলি শক্ত হয়ে ওঠে, সংকুচিত হয়। এই কারণেই লোম খাড়া হয়ে ওঠে।

আসলে এই কাঁটা দেওয়া হরমোনের বিষয়। কোনও কারণে শরীরে উত্তেজনা তৈরি হলেও রোম খাড়া হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে গায়ে কাঁটা দেয়। অ্যাড্রেনালিন হরমোন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে ত্বকের নিচের পেশীগুলি সংকুচিত হয়। যার ফলে রোম খাড়া হয়ে যায়। পুরনো কোনও ঘটনা বা বিশেষ কোনও মুহূর্ত স্মরণ করেও এমন অনুভূতি আসতে পারে।

গান শুনলেও গায়ে কাঁটা দিতে পারে। বিজ্ঞান বলছে, মস্তিষ্কের অনেক স্নায়ু অডিটরি কর্টেক্সের সঙ্গে যুক্ত। অনেক সময়ে কোনও গান শুনলে শরীরে বিশেষ অনুভূতির হয়। তখনই গায়ে কাঁটা দেয়। আবার বিশেষ কোনও বিষয়ে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেও গায়ে কাঁটা দিতে পারে। আর এই সব কিছুর পিছনেই লুকিয়ে হরমোনের কারসাজি।