আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ শীতে চিংড়ি দিয়ে চাল কুমড়োর তরকারি, মোরব্বা, চেঁচকি, হালুয়া, পায়েস তৈরি করা যায় চাল কুমড়ো দিয়ে। ঘরের চালে এই সবজি হয় বলে একে চাল কুমড়ো বলে পরিচিত। তবে এই সবজি শুধু চালে নয়, মাচায় অথবা জমিতে চাষ করলেও ফলন ভালো হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিক-সহ বহু রোগের উপশম করার ক্ষমতা রয়েছে অবহেলিত এই চাল কুমড়োয়।
এটি পেপটিক আলসার, প্রস্রাবের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস মেলিটাস, মৃগীরোগ এবং স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য চাল কুমড়ো রস ব্যবহার করা যায়।
চাল কুমড়ো অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসাবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চাল কুমড়ো রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চাল কুমড়ো রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে, যাদের কাশির সঙ্গে রক্ত বের হয়, এমন ক্ষেত্রে চাল কুমড়োর রস খেলে ভালো হয়ে যায়। এতে রক্ত বের হওয়া থেমে যায়।
চাল কুমড়ো শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারি একটি সবজি। এটি রক্তনালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চাল কুমড়া অধিক ক্যালরি যুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।
