আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ আর শিউলি ফুলের গন্ধ- বাঙালির মনে উঁকি দিচ্ছে পুজোর আমেজ। ঘরদোর পরিষ্কার করা, নতুন পোশাক কেনা, অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি- সব মিলিয়ে বাড়িতে একজন সাজ সাজ রব। এই সময় বসার ঘর থেকে শোবার ঘর, সবই সেজে ওঠে নতুন করে। কিন্তু বাড়ির জানালার কথা কি আমরা সেভাবে ভাবি? অথচ এই জানালাই হল বাইরের জগতের সঙ্গে অন্দরের সেতুবন্ধন। সামান্য কিছু ভাবনায় আপনার সাদামাটা জানালাও হয়ে উঠতে পারে পুজোর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

আলোর রোশনাই
পুজোর সাজে আলোর ব্যবহার থাকবে না, তা কি হয়? জানালার চারপাশে জড়িয়ে দিন টুনি লাইট বা ফেয়ারি লাইটস। সোনালি বা হলুদ আলোর নরম আভা ঘরে এক স্নিগ্ধ ও উৎসবের পরিবেশ তৈরি করবে। জানালার গ্রিলে বা কার্টেন রডে ঝুলিয়ে দিতে পারেন নানা রঙের কাগজের লণ্ঠন। সন্ধ্যার পর জানালার নিচে সারি দিয়ে মাটির প্রদীপ বা সুগন্ধী মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলে তার রূপই বদলে যাবে। তবে আগুন নিয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

পর্দায় নতুনত্বের ছোঁয়া
সারা বছর ব্যবহার করা ভারি পর্দাগুলো এবার তুলে রাখুন। পুজোর ক'দিনের জন্য লাগিয়ে নিন হালকা রঙের পাতলা কাপড়ের পর্দা। সাদা, হালকা হলুদ, গেরুয়া বা হালকা সবুজ রঙের পর্দা দিনের বেলা ঘরে নরম আলো নিয়ে আসবে। তাঁত, খাদি বা ব্লক প্রিন্টের সুতির পর্দা যেমন বাঙালিয়ানার পরিচয় দেবে, তেমনই ঘরোয়া একটা আমেজ তৈরি করবে। দু’টো ভিন্ন রঙের পর্দা মিলিয়ে-মিশিয়েও লাগাতে পারেন। পর্দা মানানসই কাপড়ের বা পাটের লেস দিয়ে বেঁধে রাখলে দেখতে আরও সুন্দর লাগবে।

ফুল ও সবুজের স্নিগ্ধতা
পুজোর সাজে ফুল থাকাটা যেন বাধ্যতামূলক। জানালার ফ্রেমে বা গ্রিলে জড়িয়ে দিন গাঁদা ফুলের লম্বা মালা। সঙ্গে থাকতে পারে জুঁই বা রজনীগন্ধার ছোঁয়া। ফুলের মিষ্টি গন্ধে মন ভরে উঠবে। জানালার সিলে রাখতে পারেন ছোট ছোট মাটির টব। তাতে লাগান মানি প্ল্যান্ট বা অন্য কোনও ইনডোর প্ল্যান্ট। একটি কাচের বাটিতে জল দিয়ে তার উপর ভাসিয়ে দিন গোলাপের পাপড়ি ও কয়েকটি ভাসমান মোমবাতি। অল্প খরচেই এই সজ্জা জানালার ভোল পাল্টে দেবে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই

দেশীয় শিল্পের কারুকাজ
বাঙালির পুজো, আর তাতে লোকশিল্পের ছোঁয়া থাকবে না? জানালার কাচে সাদা অ্যাক্রিলিক বা গ্লাস পেইন্ট দিয়ে এঁকে ফেলুন সাবেক আলপনার ডিজাইন। লতাপাতা, কলকা বা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের মতো নকশা জানালার সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। কার্টেন রড থেকে ঝুলিয়ে দিন রঙিন সুতোয় গাঁথা পোড়ামাটির ঘণ্টা, ডোকরার ছোট মূর্তি বা রঙিন পুঁতির মালা। এতে সজ্জায় একটা অন্য মাত্রা যোগ হবে।

অল্প খরচে মনকাড়া সাজ
বাড়িতে থাকা পুরনো সিল্কের শাড়ি বা রঙিন ওড়না দিয়েও জানালার জন্য সুন্দর পর্দা তৈরি করে নিতে পারেন। রঙিন কাগজ কেটে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ঝালর বা নিশান। পুরনো কাচের বোতলে কয়েকটি ফুল বা মানি প্ল্যান্টের ডাল রেখে দিলেও দেখতে চমৎকার লাগবে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর পিঠ জিভ দিয়ে চেটে দেয় পুরুষ, স্ত্রী যদি পাল্টা লেহন করে, তবেই হয় মিলন! পৃথিবীর একমাত্র জীবিত ড্রাগন এরাই

আসলে, জানালা সাজানো মানে শুধু দামী জিনিসপত্র দিয়ে ভরিয়ে তোলা নয়। বরং নিজের সৃজনশীলতা আর রুচির মিশেলে তাকে উৎসবের আবহে রাঙিয়ে তোলা। আপনার সাজানো জানালা দিয়েই ঘরে প্রবেশ করুক পুজোর অনাবিল আনন্দ।