আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ টমেটোর উপকারিতা প্রচুর।  মোটামুটি সারাবছরই  বাজারে এই সব্জির দেখা মেলে।তরকারির স্বাদকে দ্বিগুণ করতে অতুলনীয় এই লাল সব্জি।ত্বকের পরিচর্যাতেও টমেটোর অবদান রয়েছে। টমেটোর রস ত্বকের অনেক উপকারে আসে।এতে উপস্থিত খনিজ উপাদান ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং উজ্জ্বল করে।এই তো হল টমেটোর গুনাবলী।
কিন্তু টমেটোর বীজ? সেটি কি আদৌ উপকারী?খাবেন না বাদ দেবেন,এই ব্যাপারে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা থাকলে টমেটোর বীজ একেবারেই খাওয়া চলবে না।

ভিটামিন সি এবং ডায়েটারি ফাইবারে ঠাসা টমেটোর বীজ।সব্জিটির মতো বীজগুলোরও কিছু পুষ্টিগুণ আছে বৈকি।
ত্বক, হার্ট ভালো রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই বীজ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।এতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় তা খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরকে দিতে সাহায্য করে, ভালো কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় থাকে।

আসল সমস্যা তো টম্যাটো গাছে। এই গাছের পাতায় আর কাণ্ডে সোলানাইন নামের এক ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে। আমাদের শরীরের পক্ষে এটি  বিষাক্ত।
যারা দীর্ঘ দিন ধরে হজমের সমস্যায়, অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের কাঁচা টম্যাটো খাওয়া তো বাদ দিতে হবেই, সেই সঙ্গে রান্না করার সময় বীজগুলোকে বাদ দিতেই হবে।
এই সমস্ত রোগীরা টমেটোর বীজ ফেলে না দিয়ে খেলে হজমের সঙ্গে হার্টবার্নের সমস্যাতেও ভুগতে পারেন। শরীরে তৈরি হতে পারে আরও নানা রকম অসুখ।

রান্নায় দেওয়ার সময়ে  টমেটো থেকে বীজগুলো বাদ  না দিয়ে হোক বা ফেলে দিয়েই হোক, স্বাদের কোনও পার্থক্য এক্ষেত্রে হয় না। শরীরকে সুস্থ রাখার প্রয়োজনে বীজ ফেলে খাওয়াই ভাল৷

টমেটোর বীজ সর্বাধিক ক্ষতি করে। আপনি যদি স্যালাডে টমেটো খান তবে চেষ্টা করুন  অন্তত বীজ আপনার পেটে যেন না যায়। আসলে, এই বীজগুলি সহজে হজম হয় না এবং কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে।