আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতকালে ঠাণ্ডার দাপট বাড়তে থাকলে মাথাচাড়া দেয় একাধিক রোগও। এই মরশুমে ঠাণ্ডা উপভোগ করার পাশাপাশি পরিবেশে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আধিক্যও বাড়ে।তাই এই সময় নানা ছোট-বড় সংক্রমণের ঝুঁকিও থেকে যায়। বাড়ে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির দাপটও।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন অনেকেই। তাতে জ্বর হয়তো সেরে গিয়েছে। কিন্তু কাশি? তাকে তো বাগে আনা যাচ্ছে না কোনও মতে। উলটে কাশতে কাশতে রাতের ঘুম উড়ছে বড় থেকে ছোট সকলের। তাহলে একবার ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা করে দেখুন। নিমেষে দূরে পালাবে সর্দি-কাশি। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই ভেষজ সিরাপ।

একটি বড় আদা ও কাঁচা হলুদের টুকরোকে গ্ৰেট করে নিন। ব্লেন্ডারে ৪-৫টি এলাচের খোসা ছাড়িয়ে দানাগুলো দিয়ে দিন। সঙ্গে বেশ কিছু গোটা গোলমরিচ, হাফ চামচ বিট নুন ও গ্ৰেট করে রাখা কাঁচা হলুদ ও আদাকে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। প্যানে এক কাপ জল দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটতে শুরু করলে গুড়ের বড় সাইজের টুকরো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। গুড় সম্পূর্ণ গলে গেলে ব্লেন্ড করা উপকরণগুলো দিয়ে দিন। এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন। এই মিশ্রণটি আপনি ১৫দিন রেখে দিতে পারবেন। সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ এই ঘরোয়া সিরাপ বাড়ির বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সের সবাই খেতে পারেন। যার কোনও পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই।

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে আদার মধ্যে। তার ফলে এই উপকরণ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সহজে অসুস্থ হয়ে যাবেন না আপনি। রোগ-সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ঘনঘন সর্দি লেগে যাওয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। আমাদের সারা শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের সরবরাহ সঠিক ভাবে বজায় রাখে আদার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। দ্রুত সুস্থ হতেও সাহায্য করে। কাঁচা আদা খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। হলুদে মজুত কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়। এছাড়াও এটি খাদ্যনালীর প্রদাহের সম্ভাবনা কমায়। শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায় ও সর্দিকাশি থেকে আরাম দেয়। এছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি -কাশি কমাতে সাহায্য করে।