আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সারাদিনের ক্লান্তির কারণে হাতে, পায়ে, পিঠে, কাঁধে ব্যথা হতে পারে।সাধারণত ক্লান্তি দূর হলে গায়ে ব্যথার সমস্যাও দূর হয়।এর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।ঘুম কম হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।এর ফলেও ক্লান্তি দেখা দেয়।আর তা থেকে হতে পারে সারা শরীরে ব্যথা যন্ত্রণা। ঘুম ছাড়াও পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে দিনশেষে সব অঙ্গে যন্ত্রনা হতে পারে।বয়স ৩০ পেরোলেই এই ধরণের লক্ষণ দেখা যায়। আমাদের দিদা ঠাকুমাদের সময় থেকেই এই ধরণের সমস্যা কম বেশি দেখা যেত।

কিন্তু সেই সময় যন্ত্রনা কমানোর জন্য এতো মুঠো মুঠো পেইনকিলার খাওয়ার চল ছিল না।ঘরোয়া উপায়ে তৈরি তেল বা অন্যান্য টোটকায় সেই ব্যথার উপশম করার চেষ্টা করা হতো।তেমনই পুরনো টোটকার বিভিন্ন উপকারি উপাদান দিয়ে তৈরি এক মহৌষধি তেলের ব্যাপারে জেনে নিন।

প্যানে এক কাপ সরষের তেল গরম করতে দিন।আদাকে খোসাসহ থেঁতো করে নিন।১০-১২ কোয়া রসুন কুচি করুন।তেল গরম হলে গেলে এক চামচ জোয়ান ও দুটো দাড়চিনির টুকরো দিন।ফুটতে শুরু করলে ১০টি লবঙ্গ দিন। এইগুলো হালকা ভাজা হলে কুচোনো রসুন ও থেঁতো করে রাখা আদা দিন। আরও কিছুক্ষণ ভেজে একটু কাঁচা হলুদ বেটে দিতে হবে। টানা ১০মিনিট তেলটি ফোটান।ভাজা হয়ে গেলে ছেঁকে নিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন।

দু'মাস পর্যন্ত এই তেলটি রেখে দিতে পারেন। শরীরে যন্ত্রনা হলে তেলটি ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন।ফ্রিজে এটি রাখবেন না।এই আয়ুর্বেদিক তেল আপনার পুরনো গাঁটের ব্যথা, কোমর ও পায়ের ব্যথা উপশমে মোক্ষম অস্ত্র।

তবে, অত্যধিক এবং নাগাড়ে ব্যথা যন্ত্রণা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। ডিহাইড্রেশন হলেও যন্ত্রনা বাড়তে পারে।