জঙ্গল সাফারি মানেই রোমাঞ্চ, প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি মেলবন্ধন। শুধু ঘুরে দেখা নয়, সাফারিতে প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীকে সম্মান করা একটি শিক্ষাও। সঠিক সময়ে যাওয়া, সঠিক পোশাক বেছে নেওয়া এবং নিয়ম মেনে চললে এই ভ্রমণ যেমন হয়ে উঠতে পারে জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা, তেমনই অনেক সময় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে হতাশাজনকও হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে থেকে পরিকল্পনা করলে সাফারির অভিজ্ঞতা অনেক বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

কবে যাবেন

* বর্ষাকাল অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর-এই সময়ে সাফারির জন্য ড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ এই সময় বেশিরভাগ অভয়ারণ্য বন্ধ থাকে।

* অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতকালে আবহাওয়া থাকে আরামদায়ক, ঘোরার জন্য আদর্শ সময়।

* এপ্রিল থেকে জুনের গ্রীষ্মকালে জলের আশেপাশে বন্য প্রাণী দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

আরও পড়ুনঃ পশু নয় ক্যাকটাস থেকে যুগান্তকারী ‘চামড়া’ তৈরি করলেন দুই বন্ধু! জুতো কিংবা ব্যাগের জন্য আর মরবে না অবলা প্রাণী?

সাফারির সময়সূচি

*অভয়ারণ্য সাধারণত ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খোলা থাকে।

*ভোরবেলা বা সন্ধ্যায় সাফারিতে গেলে বাঘ, চিতা ইত্যাদি বড় শিকারি প্রাণী দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি।

*পছন্দ অনুযায়ী জিপ সাফারি বা ক্যানটার অর্থাৎ মিনি বাস সাফারি বেছে নিতে পারেন।

কী পরবেন

*গ্রীষ্মকালে হালকা কটন পোশাক, শীতকালে উষ্ণ জামাকাপড় যেমন সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, গ্লাভস নিতে হবে।

*সঙ্গে মিশে যেতে সুবিধা হয় এমন পোশাকের রং হওয়া উচিত।

*জঙ্গল সাফারিতে আরামদায়ক জুতো বা স্যান্ডেল পরা শ্রেয়।

*অতিরিক্ত সতর্কতা: রোদ থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন, টুপি ও সানগ্লাস নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে রেইনকোট রাখুন। মশা ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে ইনসেক্ট রিপেলেন্টও সঙ্গে রাখুন।

কী কী সঙ্গে নেবেন

*দূরবীন ও টেলিফটো লেন্স সহ ক্যামেরা নিলে বন্যপ্রাণীকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ ও ছবি তোলা যায়।

*একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখা সুবিধা হবে। 

*সাফারি চলতে পারে ৩-৪ ঘণ্টা, মাঝে হয়তো একবার বিশ্রামের সুযোগ পাবেন।

*জঙ্গল সাফারিতে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন না, গাড়ি থেকে নামবেন না এবং শব্দ করে প্রাণীদের বিরক্ত করবেন না।

*শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক সব ভ্রমণকারীরদের বৈধ ফটো আইডি কার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির দিনে ভিজে কাপড় নিয়ে নাজেহাল? ৫ সহজ নিয়ম মানলে ঘরের মধ্যেই দিব্যি শুকিয়ে যাবে জামা-জুতো

বুকিং ও থাকার ব্যবস্থা

*পিক সিজন বা ছুটির সময় আগে থেকেই হোটেল বা রিসর্ট বুকিং করে নেওয়া জরুরি।

*সাফারির বুকিং অনেক জায়গায় আগেভাগেই করতে হয়।

*বনাঞ্চলের ভিতরে বা বাফার জোনে অবস্থিত লজ, ক্যাম্প বা রিসর্টে থাকলে আরও ভাল অভিজ্ঞতা হতে পারে। 

*অবসরে কাছাকাছি গ্রাম বা প্রকৃতি ভ্রমণও উপভোগ্য হতে পারে।

*ছোট দলের জন্য জিপ সাফারি সেরা হলেও খরচ তুলনামূলক বেশি।

*বড় দলের জন্য ক্যানটার বা বাস সাফারি বেশি কার্যকর।