আজকাল ওয়েবডেস্কঃ রোজ শ্যাম্পু, ভাল কোম্পানির কন্ডিশনার, হেয়ার সিরাম থেকে দামী স্পা-এর ক্রিম। চুলের যত্নে চেষ্টার কোনও অন্ত নেই। কিন্তু এত কিছুর পরও হাল ফিরছে না চুলের? রুক্ষ, শুষ্ক চুল বাঁচাতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন? তাহলে শুধু বাহ্যিক চর্চা নয়, বরং ভিতর থেকে পুষ্টি জোগাতে ভরসা রাখুন বেশ কয়েকটি বীজের উপর। চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের বীজের গুরুত্ব অপরিসীম। কুমড়োর বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড, সূর্যমুখী বীজ, চিয়া সিড ও কালোজিরে চুলের যত্নে প্রত্যেকটি বীজ আলাদাভাবে কাজ করে। 

তিসি বা ফ্ল্যাক্স সিড ঝরা কমাতে ও চুলের ফলিকলগুলিকে মজবুত করতেও দারুণ উপকারী। চিয়া বীজে রয়েছে প্রোটিন, ফসফরাসের মতো উপাদান, যা চুলকে গোড়া থেকে মজবুত রাখে। আবার চিয়ায় থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মাথার ত্বকের পুষ্টি জোগাতেও ভীষণ কার্যকরী। 

সূর্যমুখী গাছের বীজে উপস্থিত ভিটামিন ই মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এর ফলে নতুন চুল গজায় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। কুমড়োর বীজে ভিটামিন এ, বি এবং সি, আয়রন, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ফসফরাসের মতো প্রচুর প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য এইসব উপাদান ভিতর থেকে চুলকে পুষ্টি জোগায়। গুণাগুন তো জানলেন এবার জানুন কীভাবে এই সব বীজ ব্যাবহার করবেন-

সমস্ত ধরনের বীজকে সম পরিমাণে নিয়ে প্যানে শুকনো খোলায় পাঁচ মিনিট ভেজে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে মিক্সিতে গুঁড়ো করে কাচের পরিষ্কার জারে রাখুন। এই মিশ্রণটি চার থেকে পাঁচ মাস রেখে দিতে পারবেন। খালি পেটে এক চামচ করে এই মিশ্রণ হালকা গরম জলে মিশিয়ে খান। শুধু চুল নয়, সার্বিক ভাল থাকবে শরীর।