আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তানকে কী খাবার টিফিন দেওয়া যায়, তা নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। থাকবে না-ই বা কেন? বাড়ির খুদে সদস্যটি যে দিনের অনেকটা সময়ই থাকে স্কুলে। সেখানে কেমন থাকছে, কী করছে—মায়ের বকুনির ভয়ে খাবার ফেলে দিচ্ছে, নাকি বন্ধুকে খাইয়ে দিচ্ছে; সেসব নিয়ে ভাবনা হতেই পারে। তাছাড়া রয়েছে আজকাল নানান প্যাকেটজাত খাবারের হাতছানি। ফলে সাদামাঠা রুটি-তরকারিতে যে মন ভরে না শিশুদের। এদিকে বাড়ন্ত বয়সে পুষ্টির সঙ্গে আপস করলেও চলবে না। তাহলে কোন কোন খাবার দিলে শিশুর মন ভরবে, সঙ্গে মিটবে পুষ্টির চাহিদাও? রইল তারই হদিশ।

পোহা- আলু, পিঁয়াজ, গাজর, বিনস আর তাতে কাজু-কিশমিশ, বাদাম ছড়িয়ে বানিয়ে নিন চিঁড়ের পোলাও বা পোহা। একটু মিষ্টি দেবেন। পুষ্টিগুণে ভরপুর পোহা শিশুরা বেশ পছন্দ করবে। বেশ পছন্দ করে খাবে।

ধোকলা- রোজকার একঘেয়েমি কাটাতে শিশুর টিফিনে দিতে পারেন ধোকলা। এই সুস্বাদু খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্যেও উপকারী। মাত্র ১৫-২০ মিনিটেই বানিয়ে দেওয়া যায় ধোকলা।

ছোলা স্যালাড- প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ছোলা। তার সঙ্গে শসা, টমেটো, পিঁয়াজ, ধনেপাতা কুঁচি করে কেটে মিশিয়ে স্যালাড তৈরি করে উপর দিয়ে বিটনুন ও এক চিমটি গোলমরিচ ছড়িয়ে দিন। বানাতে যেমন ঝামেলা নেই, তেমন মুখরোচক আর পুষ্টিগুণে ভরপুরও।

উপমা- পুষ্টিগুণের দিক থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে সুজি। যা দিয়ে সহযে বানিয়ে ফেলুন উপমা। অনেক ধরনের সবজির সঙ্গে কাজুবাদাম, কিসমিস দিয়ে উপমা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকরও।

স্যান্ডউইজ- স্যান্ডউইজ টিফিনের জন্য খুব ভাল খাবার। ভেজ স্যান্ডউইজ হলে বিভিন্ন ধরনের সবজি ব্যবহার করতে পারেন। তার নন ভেজে ডিম কিংবা চিকেন ব্যবহার করতে পারেন। স্টাফের জন্য মেয়োনিজ ব্যবহার না করে জল ঝরিয়ে দই ব্যবহার করতে পারেন।