আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইদানীং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চার অভাব সহ একাধিক কারণে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যায় ভুক্তভোগী কম-বেশি সকলেই। পাচন প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোলের সঙ্গে পেট ফাঁপার যোগসূত্র রয়েছে। যা দীর্ঘদিন সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক নয়। যাঁরা ক্রনিক বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হলেই এই সমস্যা বাড়ে। যার জন্য রোজ ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারের উপর।
*আদা- হজম ক্ষমতা বাড়াতে বহু যুগ ধরে আদা ব্যবহার করা হয়। রোজকার চায়ে আদা দিলেও গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যায় রেহাই মিলতে পারে।
*পুদিনা-গ্যাস, পেটের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে পুদিনা। খাবারের পরে এক কাপ পুদিনা চা খেলে উপকার পাবেন। স্যালাড বা স্মুদিতে তাজা পুদিনা দিতে পারেন।
*মৌরি- গ্যাস এবং পেটের ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে মৌরি। খাওয়ার পরে এক চা চামচ মৌরি চিবিয়ে খান বা দ্রুত আরামের জন্য মৌরি চা পান করুন।
*পেঁপে- পেঁপেতে রয়েছে প্যাপেইন নামক উৎসেচক যা পাকস্থলীর প্রোটিন ভেঙ্গে হজমে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে জলখাবারে খেতে পারেন। এটি প্রাকৃতিকভাবে হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
*আনারস- আনারসে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলাইন রয়েছে, এটি এমন একটি উৎসেচক যা হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। তাই গ্যাস এবং ফোলাভাব দূর করতে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন।
*দই- দইতে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে দই খেলে উপকার পাবেন।
*শশা- শসাতে জলের পরিমাণ বেশি এবং এটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে। পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমায়। স্যালাডে কিংবা ডিটক্স পানীয়তে শশা যোগ করতে পারেন।
*ক্যামোমাইল চা- ক্যামোমাইল চা-এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা গ্যাস এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি দেয়। খাওয়ার পর পেট ঠান্ডা রাখার জন্য ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন।
*হলুদ- হলুদ অন্ত্রের প্রদাহ কমায়। রান্নায় হলুদ দিলে বা গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গ্যাস এবং পেট ফোলা কমে।
