আজকাল ওয়েবডেস্ক: মোবাইল ফোন এমন একটি যন্ত্র যা কার্যত দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই আমাদের সঙ্গে থাকে। কারও কারও তো মোবাইল আসক্তি এতটাই বেশি যে তাঁরা ফোন নিয়েই বাথরুমে যান। এমনকী মলত্যাগ করার জন্য কমোডে বসার সময়েও নজর থাকে ফোনের স্ক্রিনে। কিন্তু জানেন কি এই অভ্যাস বেশিদিন চলতে থাকলে বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে?
১. হেমোরয়েডসের ঝুঁকি বৃদ্ধি: দীর্ঘক্ষণ ধরে কমোডে বসে থাকার কারণে মলদ্বারের আশেপাশে রক্তনালীর উপর চাপ পড়ে। এর ফলে হেমোরয়েড বা অর্শ্বরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ফোনের প্রতি মনোযোগ থাকার কারণে কখন বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে তা খেয়াল থাকে না।
২. মলদ্বারের পেশীর উপর অতিরিক্ত চাপ: দীর্ঘক্ষণ ধরে বসার কারণে মলদ্বারের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে মলত্যাগ করতে সমস্যা হতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়ে।
৩. জীবাণুর সংক্রমণ: শৌচাগারে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থাকে। দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারের ফলে সেই জীবাণু আপনার হাতে এবং ফোনের স্ক্রিনে লেগে যেতে পারে। পরে সেই ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণু আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে এবং পেটের সংক্রমণ বা অন্যান্য রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. মনোসংযোগের অভাব: দীর্ঘক্ষণ ফোনে মগ্ন থাকার কারণে প্রাকৃতিক তাগিদে মনোযোগ নাও থাকতে পারে। এর ফলে মলত্যাগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যার ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বল কিংবা দীর্ঘমেয়াদি পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে।
৫. সময় নষ্ট: শৌচাগারে দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারের ফলে মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। এই সময়টা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো যেতে পারত। অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে এমনিতেই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। শৌচাগারে দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার সেই সমস্যা আরও বাড়াতে পারে।
