আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাঁকিয়ে বসছে গরম। চড়চড় করে বাড়ছে পারদ। মার্চেই হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েকদিনের মধ্যে গরমের তীব্রতা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। গরমকালে হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত জরুরি। যার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শুধু তেষ্টা মিটলেই তো চলবে না, গরমে পান করতে হবে এমন পানীয়, যা শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখবে। জলের সঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বেশ কিছু পানীয় খেলেই মিলবে স্বস্তি । রইল তারই হদিশ-
আমপোড়া শরবত: কাঁচা আম পুড়িয়ে শাঁসটা বের করে নিয়ে চটকে মাখুন। সঙ্গে খানিকটা পুদিনাপাতার কুচিও মিশিয়ে দিন। সাধারণ নুনের বদলে বিটনুন ব্যবহার করতে পারেন। মিষ্টিভাব আনতে চিনি-গুড় মিশিয়ে নিন। আমপোড়া শরবত শুধু শরীর ভাল রাখে না, স্বাদের দিক থেকেও এর জুড়ি মেলা ভার।
বেলের শরবত: বেল চটকে দানা বাদ দিয়ে কেবল শাঁসটুকু বের করে নিন। তারপর দই, গুড়, সামান্য বিটনুন, ঠান্ডা জল দিয়ে তৈরি করে ফেলুন দুর্দান্ত স্বাদের বেলের শরবত।
ছাতুর শরবত: গরমকালে ছাতুর শরবত খেয়ে ব্রেকফাস্টে সারতে পারেন! ছাতু, টক দই (চাইলে নাও দিতে পারেন), সামান্য লেবুর রস, নুন, গুড় আর জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে একটু ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিলেই তৈরি ছাতুর শরবত।
আমলকির শরবত: আমলকির রস ব্লেন্ডারে দিয়ে রস করে নিন। একটি গ্লাসে ঢালুন। তাতে এক চামচ মধু, স্বাদ মতো বিট নুন এবং জল দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিলেই খুব সহজে তৈরি হয়ে যাবে আমলকির শরবত।
তরমুজ-অ্যালোভেরার শরবত: কয়েক টুকরো তরমুজের রসের সঙ্গে কয়েকটি তুলসি পাতা, ২ চামচ অ্যালোভেরার রস আর কয়েকটা বরফ দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। এবার মিশ্রণে সামান্য বিটনুন, গোলমরিচ আর লেবুর রস দিন। গ্লাসে উপর দিয়ে তরমুজের কুচি আর পুদিনা পাতা দিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন এই শরবত।
গন্ধরাজ ঘোল: দই, জল, কিছু পুদিনা পাতা, জিরেগুঁড়ো এবং বিটনুন দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণে গন্ধরাজ লেবুর রস আর কয়েকটা বরফ মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে গন্ধরাজ ঘোল।
পুদিনার শরবত: গ্রীষ্মকালে পুদিনা শরীরকে সতেজ রাখে। ২-৩ গ্লাস জলে পুদিনা পাতা, পাতিলেবুর রস, বিটনুন, চিনি আর ভাজা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিন| এটি ছেঁকে নিলেই পুদিনার সরবত প্রস্তুত।
তেঁতুলের শরবত: তেঁতুলের খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে নির্যাস বার করে রাখুন। তাতে গন্ধরাজ লেবুর রস মিশিয়ে মিক্সিতে দিন। সঙ্গে লেবুর রস, বরফের কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, নুন আর ভাজা জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। পরিবেশন করার আগে উপর থেকে পুদিনা পাতা ও বরফ দিয়ে দিতে করুন।
কালোজামের শরবত: গরমকালের ফল কালোজামের আঁটি ফেলে দিয়ে মিক্সিতে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা জলে সেই পেস্টের সঙ্গে কিছুটা মধু, লেবু ও বিটনুন যোগ করে কালোজামের টক-মিষ্টি শরবত বানিয়ে নিন। নিয়মিত এই শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা তো হবেই, সঙ্গে রক্তের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডাবের জল: ডাবের জল পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের নরম শাঁস মিক্সিতে বেটে তাতে বিটনুন, জল, বরফ ও কিছুটা দুধ মিশিয়ে ডাবের শরবত বানাতে পারেন। এক ঝটকায় ক্লান্তি সরিয়ে শরীরকে তরতাজা করে তুলবে এই শরবত।
আখের রস: খোসা ছাড়ানো আখ টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে পিষে নিন। ছেঁকে নিয়ে সামান্য বিট নুন দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু আখের রস।
লেবুর শরবত: প্রায় সব বাড়িতেই গরমে লেবুর শরবত খাওয়ার চল রয়েছে। গরমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বেরনোর কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। সহজলভ্য পাতিলেবু দিয়ে তৈরি এই শরবত খেলে উপকার পাবেন
