আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার সামনেই মেঝেতে রাখা একজোড়া জুতোয় পা গলিয়ে তবেই দিন শুরু হয় অনেকের। সারাদিন রান্নাঘর থেকে বাথরুম, বাদ যায় না বাড়ির কোন জায়গাই। স্নান করার সময়ও পায়ের চটি খোলার কোন ব্যাপারই নেই। কিন্তু এই অভ্যাস ডেকে আনে নানা ধরণের সমস্যা। গেরস্থালির সব জায়গায় জুতো বা চপ্পল পরে যাওয়া একদমই উচিত নয়। জেনে নিন হতে পারে কি কি বিপদ।
বাড়িতে প্রার্থনার জায়গা হল আমাদের মন্দির বা সিংহাসন,সবসময় পবিত্র হয় এই জায়গা। সেখানে জুতো বা চপ্পল পরে এক্কেবারেই যাওয়া উচিত নয়। মনের সমস্ত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে এখানে শান্ত মনে বসে থাকাই একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। নিজের ও সকলের মঙ্গল কামনায় এক মনে ধ্যান করা বা নিজেদের ইষ্ট দেবতাদের পুজো করা হয় এখানে। কঠিন সময়ে মনে কিছুটা শান্তি ও জোর পাবেন। লড়াই করার শক্তিও আসবে এখানেই। অবশ্য বিশ্বাস-অবিশ্বাস দুই-ই ব্যক্তিগত বিষয়। তাই বাড়ির এই জায়গায় জুতো পরে যাবেন না।
রান্নাঘরে বাড়ির এই অংশে অন্নপূর্ণার বাস। জুতো বা চপ্পল পরে বাড়ির এই অংশে ঢুকলে অন্নের দেবীকে অপমান করা হয় বলে মনে করা হয়। তাছাড়া বাড়ির ভাঁড়ার ঘরে সংসারের যাবতীয় সঞ্চয় থাকে। তাই এখানে কখনই জুতো বা চপ্পল পরে ঢুকবেন না। এতে গৃহদেবতা অসন্তুষ্ট হন। সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয় বলেই মনে করা হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়। পাশাপাশি বাড়িতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়িতে জুতো পরে প্রবেশ করলে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। জুতো উল্টো করে রাখাও অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে পরিবারের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়।
বাস্তু শাস্ত্র মতে, জুতো পরে লকারের সামনে বা এমন কোনও স্থানে যেতে নেই, যেখানে টাকা-পয়সা রাখা রয়েছে। এমন করলে লক্ষ্মী রুষ্ট হন। আবার চটি-জুতো পরে ধন স্পর্শ করলেও লক্ষ্মীর অপমান করা হয়।
