আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে শরীরের এক অপরিহার্য উপাদান হল ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হাড়ের স্বাস্থ্যকেও ভাল রাখে এই ভিটামিন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি শরীরে প্রবেশ করলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে করে।
শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলে যেমন সমস্যা হয়, তেমনই এই ভিটামিনের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে গেলেও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি শরীরে পর্যাপ্ত থাকলে ক্যালশিয়ামের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। ক্যালশিয়াম হাড় সুস্থ রাখে। তবে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে রক্তে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে হাইপারক্যালশেমিয়া বলে। মূলত ৮-১০ হল শরীরে ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা। এটি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বমি, পেটে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, সারারাত ঘুমিয়েও ক্লান্তিভাব নিয়ে সকালে ওঠার মত লক্ষন আপনাকে জানান দেয় যে ভিটামিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
ভিটামিন ডি হাড়ের যত্ন নেয়। হাড়ের ঘনত্ব ও পেশির কোষকে বাড়তে সাহায্য করে। কিন্তু ভিটামিন ডি-এর মাত্রা যদি শরীরে বেশি হয়ে যায়, তবে হাইপারক্যালশেমিয়ার কারণে হাড় ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। তখনই হাড়ের যন্ত্রণা, পেশির নানা সমস্যা দেখা যায়।
ভিটামিন ডি-এর চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট বা ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে এসব খেয়ে নিলে খিদে কমে যায় ও খাওয়ার ইচ্ছে কম থাকে।
যে কোনও ভাল জিনিস অত্যাধিক পরিমাণে হলে তা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় হাইপারভিটামিনোসিস ডি বলা হয়। এই অবস্থায় শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে। এটি সাধারণত ডায়েটে অত্যধিক সাপ্লিমেন্ট বা সূর্যের আলো শরীরে কম পৌঁছনোর কারণে হয়।
দুগ্ধজাত খাবারে ভাল মাত্রায় ভিটামিন ডি থাকে। তাই হাড় মজবুত করতে ও শরীরকে চাঙ্গা রাখতে রোজের ডায়েটে দুধ, দই, ছানা, ছাঁচ, চিজ প্রভৃতি পরিমাণ বুঝে খান। তাছাড়া শীতের মরশুমে ভিটামিন ডি শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সূর্যের আলোর অভাবে এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না। তাই জোগান শীত পড়ার আগেই বেশি করে মাশরুম খান। এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম।
ভিটামিন ডি-এর খুব ভাল উৎস সূর্যমুখী ফুলের বীজ। দই দিয়ে খেতে পারেন এই বীজ।
