আজকাল ওয়েব ডেস্ক:শরীর প্রয়োজনীয় সঠিক মাত্রায় প্রোটিন পেলে পেশীকে সুস্থ ও মজবুত করে, মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দেয়, ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যখনই প্রয়োজনের তুলনায় প্রোটিন শরীরে পৌঁছয়, বিপত্তি হয় সেখানেই।
বিশেষত প্রানীজ প্রোটিন বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে কিডনিকে কষ্ট করে শরীর থেকে নাইট্রোজেন বের করতে হয়,যার প্রভাব পড়ে মেটাবলিজমের উপর। যারা আগে থেকেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের কিডনির ওপর চাপ পড়ে। বিকল হয়ে যায় কিডনি।
উচ্চমাত্রায় প্রোটিন পেলে শরীরে জলের চাহিদাও দ্বিগুণ হয়ে যায়। তখন বেশি মাত্রায় অপ্রয়োজনীয় ইউরিয়া ও নাইট্রোজেন বের করতে চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে ক্লান্তি,মাথা ব্যাথা আর জলের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন আপনিও।
প্রানীজ প্রোটিনে ডায়টেরি ফাইবার বেশি থাকার কারণে এই প্রোটিন পরিমাণের বেশি খেলে মারাত্মক হজমের গোলমাল হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়।
ডায়েটে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন রাখলে ফল,শাকসবজি ও দানাশষ্য কম খাওয়া হয়। তাই প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদাও অধরাই থেকে যায়। সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতে দরকারি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতিও থেকে যায়।
মাছ, মাংসের মতো প্রানীজ প্রোটিনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল বেশি থাকে,যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে।রেড মিট বেশি খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ হতে পারে।তাছাড়া আপনি প্রোটিন বেশি খেলে হাড়ের ঘনত্ব কমে তা মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে থাকে।ফলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় না ও অস্টিওপোরোসিস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মাত্রা ছাড়া খেলে ওজন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ক্যালোরি শোষণ করে মেদ হিসেবে শরীরে জমা হতে থাকে।অপর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে থাকলে কিডনির মতোই লিভারেও চাপ পড়ে। যাদের আগে থেকেই লিভারের সমস্যা ছিল তাদের ফ্যাটি লিভার ও লিভার সিরোসিস হয়।
