আজকাল ওয়েবডেস্কঃ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সবার প্রথমে খাওয়া-দাওয়ার উপর রাশ টানতে হয়। বেশ কিছু খাবারের পরিমাণ যেমন বাড়াতে হয়, তেমনই ডায়েট থেকে বাদ দিতে হয় অনেক খাবারই। কিন্তু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কি মিষ্টি আলু খাওয়া যায় কিনা তাই নিয়ে দ্বন্দ থেকেই যায় অনেকের মনে। 

মিষ্টি আলু যেহেতু স্বাদে মিষ্টি তাই সুগার রোগীদের এই সবজি এড়িয়ে চলা উচিত বলেই অনেকের মত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন উল্টো কথা। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে মিষ্টি আলু শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক সূচক কম, যা খুব একটা প্রভাব ফেলে না রক্ত শর্করার মাত্রার উপর। পাশাপাশি মিষ্টি আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা আদতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

তবে মিষ্টি আলু খেলেও সীমিত পরিমাণে তা খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। মিষ্টি আলুর সঙ্গে অন্যান্য সবজি মিশিয়ে খান। তাহলে এটি সুগার রোগীদের খুব ক্ষতি করবে না। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মিষ্টি আলু সেদ্ধ কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হিসেবে মিষ্টি আলু খাবেন না। এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪-১৯ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। মিষ্টি আলুর অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ওজনের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি মিষ্টি আলুর সঙ্গে অন্যান্য সবজি রান্না করে খেতে পারেন।