আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে, "যস্মিন দেশে যদাচার।" সারা পৃথিবী জুড়েই সংস্কৃতি ভেদে বদলায় লোকাচার। বিয়ে নিয়েও এক এক দেশে এক এক নিয়ম। আফ্রিকার সোয়াহিলি উপজাতির সংস্কৃতিতে রয়েছে এমন বিচিত্র এক প্রথা যা শুনলে অনেকের চোখই কপালে উঠতে পারে। বিয়ের পর প্রথম রাতে বর-কনের সঙ্গে একই ঘরে শোবেন নববধূর মা-ও। এমনই বিচিত্র একটি রীতি চালু রয়েছে আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে। শুধু আফ্রিকাই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তেই বিয়েকে কেন্দ্র করে দেখতে পাওয়া যায় বিচিত্র সব লোকাচার।


সোয়াহিলি লোকাচার অনুযায়ী, বিয়ের প্রথম রাতে মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে রাত্রিযাপন করার সময়ে দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা রকম পরামর্শ দেন কনের মা। যদি কনের মা না থাকেন, তবে তাঁর পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা সেই দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি শোনা যায় বাসর রাতে নবদম্পতির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয় বিছানা। সেই বিছানার তলায় শুয়ে থাকেন মেয়ের মা। রাত্রিবাস যথাযথ হলে পরের দিন তিনি ঘোষণা করেন, নবদম্পতি আদৌ সুখী হবে কি না।

আফ্রিকার অপর এক দেশ নামিবিয়ার হিম্বা উপজাতি এবং ঘানার ফ্রাফ্রা উপজাতির মধ্যে, রয়েছে বিশেষ একটি রীতি। এই রীতি অনুসারে যখন কোনও পুরুষ ও নারীর বিয়ে ঠিক হয়, তখন পাত্রের পরিবার হবু বধূকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। যাতে নববধূ পালাতে না পারে তার জন্য থাকে কড়া প্রহরা। কিছুদিন পর পাত্রের বাড়ির লোক তামাক এবং বিভিন্ন রকমের ফল নিয়ে হাজির হন পাত্রীর বাড়ি। 

শুধু আফ্রিকা নয়, এশিয়ার বোর্নিয়োতে কিছু কিছু অঞ্চলে দেখতে পাওয়া বিচিত্র একটি রীতি। সেই রীতি অনুযায়ী, বিয়ের পর অন্তত তিন দিন মলত্যাগ করতে দেওয়া হয় না নব দম্পতিকে। যাঁরা তিন দিন এ ভাবে মলত্যাগ না করে থাকতে পারেন, তাঁদের বিয়ে বেশি দিন টেকে বলে মনে করেন স্থানীয় মানুষ। বোর্নিয়োর টিডং নামের এক উপজাতির মানুষের মধ্যে দেখা যায় এই রীতি। 

দক্ষিণ সুদানের নুয়ের জনগোষ্ঠীর বিবাহরীতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে বর কনের পরিবারকে ২০ থেকে ৪০ টি গরু দান করে। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগে কনেকে দু'টি সন্তানের জন্ম দিতে হয়। যদি তিনি সন্তানধারণে অক্ষম হন বা কেবল একটি মাত্র সন্তান ধারণ করেন, তাহলে স্বামী চাইলেই তাঁকে তালাক দিতে পারেন।