আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের মতো জন্য জনবহুল দেশে জীবনধারা এবং যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা খুবই জরুরি। কিন্তু এখনও বিরাট সংখ্যক মানুষ বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নয়। বরং যত কম এই নিয়ে কথা বলতে পারেন ততই যেন ভাল। সচেতনতার নাম-গন্ধ নেই। অথচ সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি সুস্থ যৌন জীবন। আর রোজকার বিভিন্ন কাজের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুস্থ যৌন জীবনের চাবিকাঠি। অনেকেই জানেন না এমন অনেক কাজ অনেকে প্রতিনিয়ত করে থাকেন যার ফলে যৌনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এমনই একটি কাজ ধূমপান। নিয়মিত ধূমপান যৌনক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। ঠিক কেন হয় এমন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ এক নয় একাধিক।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
১. রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি: পুরুষাঙ্গ কিন্তু শক্ত কোনও হাড় নয়। এক বিশেষ ধরনের মাংসপেশি। যা মিলনের সময় দৃঢ় হয়। আর এই দৃঢ়তার এবং পুরুষদের লিঙ্গ উত্থানের জন্য যৌনাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ অপরিহার্য। কারণ যত বেশি রক্ত সঞ্চালন হবে লিঙ্গোত্থান হবে তত সুঠাম। ধূমপান ঠিক এখানেই সমস্যা তৈরি করে। ধূমপানের কারণে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সরু ও শক্ত হয়ে যায়। নিকোটিন সরাসরি রক্তনালীকে সংকুচিত করে। এর ফলে যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যা পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গশিথিলতার সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
২. রক্তনালীর ভেতরের আস্তরণের ক্ষতি: শুধু রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টি করাই নয়, ধূমপান রক্তনালীর ভেতরের পাতলা স্তর বা এন্ডোথেলিয়ামের কার্যকারিতাও নষ্ট করে দেয়। এই স্তরটি রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক (যেমন নাইট্রিক অক্সাইড) তৈরি করে। এর ক্ষতি হলে রক্তনালী ঠিকমতো প্রসারিত হতে পারে না, ফলে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার অর্থই হল লিঙ্গোত্থান কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
৩. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: ধূমপান শরীরে হরমোনের স্বাভাবিক ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। এই হরমোন পুরুষদের মুখ্য যৌন হরমোন। এই হরমোন যৌন ইচ্ছা এবং যৌন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোন কমে গেলে তা যৌন উদ্দীপনা হ্রাসের অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
৪. স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব: যৌন উত্তেজনা এবং তার থেকে তৈরি হওয়া মানসিক আবেগ একটি জটিল স্নায়বিক প্রক্রিয়া। ধূমপানের বিষাক্ত উপাদানগুলি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কাজে বাধা দিতে পারে, যা যৌন অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ফলে আগের মতো উত্তেজিত লাগে না। মিলনে আগ্রহ কমে।
৫. সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবনতি: ধূমপান ফুসফুসের কার্যকারিতা কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা হ্রাস করে। ফুসফুস দুর্বল হলে দমে ঘাটতি হবে। আর হার্ট ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছবে না। সব মিলিয়ে দুর্বল লাগবে শরীর। এই শারীরিক দুর্বলতাও যৌন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
